উয়েফার বর্ষসেরা পুরস্কার চেলসির জর্জিনহোর হাতে উঠল। চেলসির হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ ও ইতালির হয়ে ইউরো জেতানোর পর ইউরোপের বর্ষসেরা ফুটবলার হলেন এই মিডফিল্ডার।
টানা দ্বিতীয়বার উয়েফার বর্ষসেরার শেষ তিনে ছিলেন না লিওনেল মেসি কিংবা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর কেউ। গতবার এই পুরস্কার জেতেন বায়ার্ন মিউনিখের রবার্ট লেভানদোভস্কি। তার পরে থেকে শেষ করেন কেভিন ডি ব্রুইনা। এবারো তিন জনের সংক্ষিপ্ত তালিকায় নাম লেখেন ম্যানচেস্টার সিটির এই মিডফিল্ডার। এবারো তাকে খালি হাতে ফিরতে হলো। জর্জিনহোর সঙ্গে অন্য প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন তার সতীর্থ এনগোলো কান্তে।
চেলসির দুই মিডফিল্ডার জর্জিনহো ও কান্তের জন্য গত মৌসুম ছিল অবিশ্বাস্য। প্রিমিয়ার লিগ ক্লাবকে তারা চ্যাম্পিয়নস লিগ জিততে সহায়তা করেন। ম্যানসিটির বিপক্ষে ফাইনালে দুজনই ছিলেন প্রথম একাদশে। পর্তুগালে কাই হাভার্জের প্রথমার্ধের গোল গড়ে দেয় ম্যাচের পার্থক্য। ম্যাচসেরা হন কান্তে।
থমাস টুখেলের দল লিগ টেবিলের চতুর্থ স্থানে থেকে মৌসুম শেষ করে আগামী চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলার টিকিটও পেয়ে গেছে। এছাড়া ভিয়ারিয়ালকে হারিয়ে উয়েফা সুপার কাপেও চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চেলসি।
কান্তের চেয়ে একটি জায়গায় এগিয়ে ছিলেন জর্জিনহো। ২৯ বছর বয়সি মিডফিল্ডার ইতালির সঙ্গে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপও জেতেন।
অন্যদিকে ডি ব্রুইনা চোট থেকে ফিরে এসে ম্যানসিটিকে প্রিমিয়ার লিগ জেতাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। দারুণ পারফরম্যান্সের স্বীকৃতিতে টানা দ্বিতীয় মৌসুম পিএফএ’র বর্ষসেরা খেলোয়াড় হন।
উয়েফার বর্ষসেরা কোচ হওয়ার দৌড়ে ম্যানসিটির লিগ জয়ী পেপ গার্দিওলাকে পেছনে ফেলে পুরস্কার জিতেছেন চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ী চেলসির কোচ থমাস টুখেল।