আজ অকাল প্রয়াত কবি রাকিবুল হক ইবন এর ৩৬তম জন্মদিন। ইবন এর প্রথম কাব্যগ্রন্থ – ‘অবিশ্বস্ত পৃথিবী আমার’ প্রথম প্রকাশ পায় যখন ইবন নবম শ্রেণীর ছাত্র। প্রথম বইটিতেই তাঁর কাব্যশক্তি চমকে দিয়েছিলো পাঠকদের।ইবনের কবিতা’কে ভালোবেসে কাছে টেনে নিয়েছিলেন বাংলা’র আধুনিক কবিতার বরপুত্র শামসুর রাহমান, আহমদ ছফা সহ আরো অনেক স্বনামধন্য কবি ও সাহিত্যিক। স্বল্প সময়ে ইবন হয়ে উঠেন তাঁর সমকালীন কাব্য ভুবনের শুদ্ধচারী একজন আধুনিক কবি। তাঁর দ্বিতীয় কাব্য গ্রন্থ – ‘যথাযোগ্য বিষাদ যথাযোগ্য আগুন’ প্রকাশের পর কিছুটা গুটিয়ে নেন তিনি নিজেকে। তারপর পাঁচ বছরের দীর্ঘ বিরতির পর প্রকাশিত হয় তাঁর তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ – ‘উপমানব’। রাতের পর রাত জেগে বিভিন্ন দেশে, হোটেলে, ক্যাফেতে, জনমানবহীন অরণ্য ও সমুদ্রঘেরা দ্বীপে বসে রচিত এই গ্রন্থে পাঠকরা ইবন কে খুঁজে পান এক পরিণত কবিকে। ‘কার এত বড় দুঃসাহস মধ্যেরাতে আমার কাব্য শক্তি কেড়ে নিতে চায়?’ দেশ বরেণ্য কবি আসাদ চৌধুরীর মতে এ উচ্চারণেই তাঁর কবিসত্তা স্পষ্ট হয়ে যায়। ইবনের কাব্য শক্তি কেউ কেড়ে নিতে পারে নি রয়ে গেছে তাঁর কবিতার মাঝে কিন্তু ইবনকে কেড়ে নিয়েছে মৃত্যু, এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় ২০১১ সালের ৭ই মার্চ মৃত্যুর সাথে যুদ্ধ করে হেরে যায় ইবন। মৃত্যুর কিছুদিন আগেই তাঁর চতুর্থ বইটির কাজ সমাপ্ত করে রেখে যান। ইবনে’র মৃত্যুর পরপরই প্রকাশ পায় – ‘বাংলাদেশের মৃত্যুতে’। আমরা ইবনের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।
‘একদিন আমি ছিঁড়ে যাবো … আমি এসেছিলাম এই পৃথিবীতে একটি দেবদারু গাছের মধ্যে করে সঙ্গে বহন করে একটি খেলনা পৃথিবী।’ ~ রাকিবুল হক ইবন