ভারতে মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ যতো তীব্র হচ্ছে ততো বেশি হাহাকার বাড়ছে অক্সিজেনের।
বুধবারই দিল্লি হাইকোর্ট সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে, ভিক্ষা করেই হোক কিংবা চুরি-ধার, যেমন করেই হোক অক্সিজেন জোগাতে হবে। তবে এরপরও রাজধানীর পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি।
বুধবার রাত ৩টা থেকে রোগী নিয়ে ঘুরছেন দিল্লির এক বাসিন্দা। তিনি কোথাও বেড কিংবা অক্সিজেন পাননি।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে রোগীর ওই স্বজন বলেন, `দিল্লির এলএনজেপি হাসপাতালের বাইরে এই অ্যাম্বুলেন্সের চালক ভাইকে অনুরোধ করলাম। উনি রাজি হলেন। এখন অ্যম্বুলেন্সে শুইয়ে রেখেই অক্সিজেন দিচ্ছি, যেটুকু পাওয়া যায়।
এই পরিস্থিতি শুধু একটি হাসপাতালের নয়। পুরো দিল্লি জুড়ে। বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর অপেক্ষায় আছেন অনেক করোনা রোগী।
অক্সিজেনের অভাবে দিল্লির এলএনজেপি হাসপাতালে চলছে হাহাকার। আর মাত্র চার ঘণ্টা চলার মতো অক্সিজেন বাকি রয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। একই চিত্র রাজীব গান্ধী সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। সেখানে আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা ব্যাবহারের মতো অক্সিজেন পড়ে রয়েছে। অথচ সেখানে অক্সিজেন প্রয়োজন ৯ শতাধিক করোনা রোগীর।
মাতা চানন দেবী হাসপাতালের দুই শতাধিক করোনা আক্রান্ত রোগী অক্সিজেনের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের অক্সিজেনের স্টক প্রায় শেষ।
অক্সিজেনের জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে ম্যাক্স হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের প্রতাপগঞ্জ শাখা কর্তৃপক্ষ তাদের আবেদনে জানিয়েছে, তাদের এই শাখায় চিকিৎসাধীন ৪০০ রোগীর মধ্যে ২৬২ জনই করোনা আক্রান্ত৷ তাদের সবকটি হাসপাতালে করোনা রোগীর সংখ্যা ১৪০০। অথচ প্রত্যেকটি শাখায় অক্সিজেন সংকট দেখা দিয়েছে।