ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপন উপলক্ষে অটোয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন কর্তৃক ১৭ এপ্রিল ২০২৩ তারিখ বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে ঢাকা থেকে প্রেরিত মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী দুটি অত্র হাইকমিশনের কর্মকর্তাগণ কর্তৃক পাঠ করে শোনানো হয়। এ দিবস উপলক্ষে একটি ডকুমেন্টরি প্রদর্শন করা হয় এবং বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাননীয় হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমান।
সভাপতির বক্তব্যের শুরুতে হাইকমিশনার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল শহিদকে বিনম্র চিত্তে স্মরণ করেন। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য তিনি সকলকে ধন্যবাদ জানান এবং বলেন যে, ১০ এপ্রিল ১৯৭১ সালে গঠিত ও ১৭ এপ্রিল ১৯৭১ সালে শপথকৃত মুজিবনগর সরকারের গুরুত্ব সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে এবং আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেও তা জানাতে হবে। তিনি বলেন যে, মুজিবনগর সরকার স্বাধীনতা যুদ্ধে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। মূলত মুক্তিযুদ্ধকে আরো বেগবান করা, কূটনৈতিক স্বীকৃতি অর্জন এবং ভারতের সার্বিক সহযোগিতা পাওয়ার বিষয়ে মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা ছিল অপরিসীম।
হাইকমিশনার আরও বলেন, দারিদ্রতা হ্রাস, নারীর ক্ষমতায়ন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল যা সম্ভব হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে। মুজিবনগর সরকারের মূল লক্ষ্যকে সামনে রেখে বর্তমান সরকারের নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়তে তিনি সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়তে দেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
আলোচনা অনুষ্ঠানের পর মুজিবনগর দিবস উপলক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর পরিবার, জাতীয় চারনেতা ও মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী বীর শহিদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি হয়।