দিগন্ত পাল
কোটি কায়ার কামনা তুমি
লক্ষ ললনার লাবণ্য,
সহস্র কবির কল্পনায় সেজে
অভীক প্রেমিকের স্মৃতি ধন্য।
শত পুরুষের তুমিই এষা
দশ দিশার আভা,
নব গ্রহ তুষ্ট তোমাতে
তুমি ব্যতীত ব্যর্থ সকল সভা।
অষ্টম আশ্চর্য তোমাতে মেলে,
গরিমা-গ্রীষ্মে উষ্মা যত
শাসনে-আদরে হয়ে মেঘলা
সপ্ত সুর হয়ে খেলে;
বারে বারে মনস্তাপে
যখনই হিয়া বর্ষা-ধোয়া,
আলিঙ্গনে পুনঃ শরতের শুরু
অনুরাগে তব ছয় ঋতুর ছোঁয়া।
———————————————-
সাহচর্য্যে পঞ্চ ব্যঞ্জনের স্বাদ,
আমারই হাস্যে নিহিত
তোমার সকল সাধ;
শৈশব, কৈশোর, বার্ধক্য বা যৌবন
সময়ের যে চর্তুবিধ সংস্করণ,
সুধীর সুধা বরষে সদা
যেথা ভালোবাসা অবাধ।
————————————————
ধরণীর কি বা সম্মান
সকলই যে অরুণের দান,
আমি লেখনী হয়ে
শুধু লিখি রয়ে-সয়ে
যা তোমারই মনীষায় ছিল আঁকা;
ত্রিলোকে তুমি অদ্বিতীয়া,
সবের উপমা হয়েও নিরূপমা,
ঔদার্য্যে অনন্যা বলেই
প্রাপ্তি বিস্মৃত তুমি
দিগন্তে দাঁড়িয়ে একা,
অনামিকা।