পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব বাতিল ও পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত অবৈধ ও অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত ৮টা ৩০ মিনিটের দিকে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত এ রায় ঘোষণা করে। এ রায়কে সামনে রেখে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালত প্রাঙ্গণ ও এর আশপাশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছিল। আদালতের সামনে দাঙ্গা পুলিশও মোতায়েন করা হয়।
৩ এপ্রিল পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী ইমরানের বিরুদ্ধে বিরোধীরা অনাস্থা প্রস্তাব আনে। তবে সংবিধানের ৫ নম্বর অনুচ্ছেদের উল্লেখ করে ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরি জানিয়ে দেন, বিরোধীদের আনা প্রস্তাব আসলে ‘বিদেশি চক্রান্ত’। তা নিয়ে আলোচনা বা ভোটাভুটি কোনওটাই হবে না। ডেপুটি স্পিকারের দেওয়া ওই আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন বিরোধীরা।
রায়ে শীর্ষ আদালত বলেছে, ‘…প্রেসিডেন্টকে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়ার কোনো অধিকার প্রধানমন্ত্রীর নেই… আজ পর্যন্ত নেওয়া সব সিদ্ধান্ত বাতিল করা হলো।’
প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবে ভোটের অনুমতি দিতে জাতীয় পরিষদের স্পিকার আসাদ কাসিরকে শনিবার (৯ এপ্রিল) সকাল ১০টায় অধিবেশন আহ্বানের নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
রায়ে বলা হয়েছে,‘…প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব জয়ী হলে, এরপর অ্যাসেম্বলি নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেবে।’
এর আগে প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দাইল বলেছিলেন, ডেপুটি স্পিকার অনাস্থা প্রস্তাব বাতিলে যে রায় দিয়েছিলেন তা প্রাথমিকভাবে সংবিধানের 95 ধারার লঙ্ঘন।