অনেকেই সঠিকভাবে না জেনে লেখা প্রকাশ করেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। এখনকার সময়ের সাংবাদিকদের প্রয়াত সাংবাদিক জগলুল আহমেদ চৌধুরীকে অধ্যয়ন করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে সাংবাদিক জগলুল আহমেদ চৌধুরী স্মৃতি ট্রাস্ট আয়োজিত জগলুল আহমেদ চৌধুরীর অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
জগলুল আহমেদ চৌধুরীকে জ্ঞানী ও বিচক্ষণ সাংবাদিক আখ্যা দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, যথাযথ তথ্য সংগ্রহ করে তিনি রিপোর্ট তৈরি করতেন। আমি কাছ থেকে তার লেখালেখি দেখেছি। তার লেখার বিশেষত্ব, সঠিক তথ্য তুলে ধরা। এখনকার সাংবাদিকদের উচিত জগলুলকে অধ্যয়ন করা। কারণ অনেকেই সঠিকভাবে না জেনে লেখা প্রকাশ করেন।
মন্ত্রী বলেন, এই উপমহাদেশ সম্পর্কে গভীর আগ্রহ থাকায় তিনি বাংলাদেশ ও ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠেছিলেন। জগলুল বাংলাদেশের সাংবাদিকতায় একটি নতুন ধারা সৃষ্টি করে গেছেন।
তিনি বলেন, আমেরিকায় যখন ছিলাম, তখন বেশ কয়েকজন বিদেশি সাংবাদিকের সঙ্গে আমার পরিচয় ছিল। প্রায় সময়ই আমি দেখতাম, তারা পড়াশোনা করছেন। কোথাও গেলে সেই স্থান নিয়ে পড়ছেন। কোনও বিষয়ে প্রতিবেদন লিখলে সে বিষয় নিয়ে পড়ছেন। জগলুলের মধ্যে আমি সেই প্রবণতা দেখেছি, যা সাংবাদিকতার অন্যতম একটি গুণ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জগলুলের মৃত্যু মর্মান্তিক। দুটি বিষয় এখান থেকে শিক্ষণীয়। প্রথমটি হলো, চলন্ত বাস থেকে না নামা। এটি আইন করে বন্ধ করা উচিত। আর দ্বিতীয়ত, বর্তমান সাংবাদিকরা যেন জগলুলের মতো সঠিক সাংবাদিকতা করেন, তা নিশ্চিত করা।
অনুজপ্রতিম সাংবাদিক জগলুল আহমেদ চৌধুরীর সাথে পারিবারিক সূত্রে এবং পেশাগত কারণে নিজের সম্পর্কের কথা স্মৃতিচারণ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তার মৃত্যু অত্যন্ত পীড়াদায়ক। জগলুল আহমেদ চৌধুরী বাংলাদেশের জন্য সাংবাদিকতার যে নিদর্শন রেখে গেছেন তা এ প্রজন্মের সাংবাদিকদের জন্য অনুসরণীয় হতে পারে।
স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন ট্রাস্টের সভাপতি, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাড. কামরুল ইসলাম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ট্রাস্টের মহাসচিব ও দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত। অনুষ্ঠানে প্রয়াত সাংবাদিক জগলুল আহমেদ চৌধুরীর পরিবারের সদস্য, আত্মীয় ও বন্ধুজনেরা উপস্থিত ছিলেন।