-হমিাদ্রী রয় সঞ্জীব ,
হাজার বছরের স্বপ্ন, লাখো-লাখো বঞ্চিত মানুষের স্পর্ধা উচ্চারিত হয়েছিল, এক বিদ্রোহী অথছ মানবিক কন্ঠে “এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম” ঝাঁপিয়ে পড়েছিল ছাত্র-যুবা কামার-কুমার, জেলে, তাঁতি; যার যা কিছু আছে তাই হাতে নিয়ে। অন্যায়ের বিপুল হিমালয়ের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিল কবির কলম, শব্দ সৈনিকের সুরে জ্বলে উঠেছিল আগুন। দাউ-দাউ সেই আগুনে, দাহ্য ঢেলেছিল মা-আর বঁধুর হাতের মঙ্গল প্রদীপ। জায় নামাজে নামাজরত মা’কে না জানিয়ে, ভালবেসে মায়ের ছেলেরা যুদ্ধে চলে যায়। চোখে এক স্বপ্ন। খাঁচার বন্দি জীবন আর নয়। অপেক্ষায় আছে স্বাধীন জীবন। ত্রিশ লক্ষ নিপুণ শিল্পী , উদীত সূর্যের আগুন থেকে লাল নিয়ে আর শস্য থেকে সবুজ নিয়ে আঁকেন লাল-সবুজের পতাকা। যার মাঝে অযুত বীরাঙ্গনা সম্ভ্রমের রক্ত ছোপের অদৃশ্য আলপনা আঁকা।
তাঁদেরি রক্তের বিনিময়ে। পাকিস্তানি জল্লাদ আর তাদের দোসদের কাছ থেকে, আমাদের অগ্রজরা ছিনিয়ে এনেছিলেন এই দেশ। দোয়েলের-শালিকের,পলাশের-শিমুলের, কার্তিকের নবান্নের এই বাংলাদেশ। এই দেশের গৌরব ঐতিহ্য বুকে নিয়ে আমরা বাঙালি ঘুরি বিশ্বময় দেশে-দেশে ভালবেসে।
আজ ১লা ডিসেম্বর। সেই ধবল প্রহরের গননা শুরু।বিজয়ের মাসের প্রথম দিন। আজ থেকে পক্ষকাল ব্যাপি প্রতি আমরা “অন্যস্বর” বিজয়ের কথা কইবো,বিজয় গাঁথা গাইবো।
আপনাদের সাথে নিয়ে দ্রোহের বাতি জ্বেলে রাখবো।