দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে ওমিক্রন। ইতোমধ্যে কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি ইউরোপ, এশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে ওমিক্রন। তাই ভাইরাসের এ নতুন ধরনটিকে নিয়ে সবাইকে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) সংস্থাটির প্রধান টেডরস আধানম গ্রেব্রিয়াসাস এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ৭৭টি দেশে ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। বাস্তবতা হলো এটি আরও অনেক দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু এখনো সেসব দেশ করোনার এ ধরনটি শনাক্ত করতে পারেনি।ওমিক্রন ডেল্টা ধরনের চেয়েও অনেক দ্রুত ছড়াচ্ছে। যে গতিতে এটি মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে সেটি আমরা কখনো কল্পনাও করিনি।’
তিনি বলেন, ‘মানুষ ওমিক্রনকে পাত্তাই দিচ্ছে না। এটাই সবচেয়ে বড় ভয় ও উদ্বেগের বিষয়। মানুষ প্রথমে এটিকে করোনাভাইরাসের হালকা মাত্রার ধরন বলে মনে করেছিলেন। কিন্তু এখন আমরা বুঝতে পারছি ওমিক্রন আমাদের বিপদের কারণ হতে চলেছে। যদিও ওমিক্রন কম গুরুতর রোগের কারণ। তবে যে হারে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে তা আমাদের অপ্রস্তুত স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে পুনরায় আচ্ছন্ন করে ফেলতে পারে।’
টেডরস আধানম গ্রেব্রিয়াসাস বলেন, ‘আমি আপনাদের স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই শুধুমাত্র ভ্যাকসিনের ওপর নির্ভর করে কারও বা কোনো দেশের পক্ষে বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতি মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। তাই প্রতিটি দেশেরই উচিত হবে ওমিক্রন যাতে ব্যাপক মাত্রায় ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য যেকোনো ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া।’
সবাইকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, ‘শুধুমাত্র ভ্যাকসিনের ওপর ভর করে ওমিক্রন মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। এখন থেকে আপনাদের প্রতিনিয়ত মাস্ক পরিধান, সামাজিক দূরত্ব ও হাত ভালোভাবে ধুয়ে ফেলা এবং ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে হবে। অবশ্যই প্রতিনিয়ত আপনাদের নিজেদের জন্য এটি করতে হবে।’