সম্পর্ক ডেস্ক:- বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক সৃষ্টি করা প্রাণঘাতী ভাইরাস করোনার পরীক্ষামূলকভাবে ভ্যাকসিন মানবদেহে প্রয়োগ করা হয়েছে।প্রথমবারের মতো দুজনের দেহে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়।বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক মানবদেহে করোনাভাইরাসের পরীক্ষামূলক ভ্যাকসিন প্রয়োগ করেন।
প্রথমবারের মতো দুজনের দেহে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়। আরও প্রায় ৮০০ জনের দেহে ভ্যাকসিনটির পরীক্ষা চালানো হবে।এখন এ দুজনকে পর্যবেক্ষণে রাখবেন বিজ্ঞানীরা। আগামী মে মাস নাগাদ আরও ৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবীর শরীরের প্রয়োগ করা হবে অক্সফোর্ড ইউনিভারসিটির তৈরি ভ্যাকসিনটি।
অক্সফোর্ড বিজ্ঞানীদের মধ্যে গবেষণার নেতৃত্বে থাকা অধ্যাপক সারা গিলবার্ট জানান, তিনি নিশ্চিত করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে এই প্রতিষেধক কাজ করবে। করোনার এই ভ্যাকসিন নিয়ে অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীরা খুবই আশাবাদী। অধ্যাপক গিলবার্ট জানিয়েছেন, ভ্যাকসিনটির সফলতার ব্যাপারে তিনি ৮০ ভাগ আশাবাদী। ইতিমধ্যে এই ভ্যাকসিনটি প্রাণীদেহে প্রয়োগ করে দারুণ ফল পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। এবার মানবদেহে প্রয়োগ করে ইতিবাচক ফল আসলে প্রাথমিকভাবে এ ভ্যাকসিনের ১০ লাখ ডোজ বানাবে অক্সফোর্ড। কয়েক মাসের মধ্যেই এই ভ্যাকসিনের মাধ্যমে লাখ লাখ মানুষের জীবন বাঁচবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিন দফায় এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে। ১৮ থেকে ৫৫ বছর বয়সী ৫১০ জনকে প্রথম দফায় এই ভ্যাকসিন দেয়া হবে। যদি প্রথম দফা সফল হয় তবে দ্বিতীয় দফায় ৫৫ থেকে ৭০ বছর বয়সীদের ওপর ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে। চূড়ান্তভাবে তৃতীয় দফায় ১৮ বছরের বেশি বয়সী পাঁচ হাজার স্বেচ্ছাসেবীর ওপর এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে।
সিএইচএডিওএক্স১ এনকোভ-১৯ নামের এই ভ্যাকসিনটি অক্সফোর্ডের জেনার ইনস্টিটিউটে তৈরি করা হয়েছে। কোভিড-১৯ এর ক্ষেত্রে এই ভ্যাকসিনটি সবচেয়ে বেশি কার্যকর হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা। এর প্রথম ডোজ গ্রহণের মাধ্যমেই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হবে।
এর ফলে যারা এই ভ্যাকসিন গ্রহণ করবেন তাদের শরীরে সংক্রমণের কোনো সম্ভাবনা থাকবে না। এমনকি এটি শিশুদের জন্যও নিরাপদ। শুধু তাই নয় ডায়াবেটিস বা অন্য কোনো রোগে ভুগছেন এমন ব্যক্তি এবং বয়স্কদের জন্যও এটা নিরাপদ।