আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) মঙ্গলবার বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি আরও কমার পূর্বাভাস দিয়েছে। তবে এরপরও বেশিরভাগ দেশ চলতি বছর অর্থনেতিক মন্দা এড়াতে পারবে।
আইএমএফ জানিয়েছে, বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি চলতি বছর ২ দশমিক ৮ শতাংশ হতে পারে। জানুয়ারিতে দেওয়া পূর্বাভাসের তুলনায় এই হার শূন্য দশমিক ১ শতাংশ কম। আগামী বছর এই প্রবৃদ্ধির হার বেড়ে ৩ শতাংশ হতে পারে।
আমেরিকার প্রবৃদ্ধি চলতি বছর ১ দশমিক ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। আইএমের আগের পূর্বাভাসের তুলনায় এটি শূন্য দশমিক ২ পয়েন্ট বেশি। তবে মার্কিন প্রবৃদ্ধি পরের বছর ১ দশমিক ১ শতাংশ কমার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
আইএমএফের প্রধান অর্থনীতিবিদ পিয়েরে-অলিভিয়ের গৌরিঞ্চাস সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘বিশ্ব অর্থনীতি গত কয়েক বছরের ধাক্কার পর পুনরুদ্ধার হচ্ছে, বিশেষত মহামারি এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পরেও।’
উন্নত অর্থনীতির প্রায় ৯০ শতাংশ দেশে চলতি বছর প্রবৃদ্ধির গতি মন্থর হবে। তবে এশিয়ার উদীয়মান বাজারগুলোর অর্থনৈতিক উৎপাদন যথেষ্ট বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর ফলে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির অর্ধেক অর্জন করবে ভারত ও চীন।
তবে উচ্চ সুদের হারের কারণে নিম্ন আয়ের দেশগুলোর ঋণের বোঝা বাড়বে এবং তাদের রপ্তানির চাহিদা হ্রাসের ফলে দ্বিগুণ ধাক্কা সামাল দিতে হতে পারে। এর ফলে এই দেশগুলোর দারিদ্র্য ও ক্ষুধা পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।