বিএনপি আন্দোলনের নামে অশান্তি করলে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না, জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘সহ্যের একটা সীমা আছে।’
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে মানুষের সেবা করার জন্য। কেউ যদি অশান্তি করতে চায়, তাদের খবর আছে? সহ্য অনেক করেছি, সহ্যের একটা সীমা আছে। অশান্তি হলে ছাড় দেওয়া হবে না। ভয় আমাদের দেখাবেন না।
আওয়ামী লীগ অশান্তি সৃষ্টি করলে বিএনপি দাঁড়াতে পারত না, উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি আবারও ভুল পথে হাঁটছে। দিন-ক্ষণ-তারিখ দিয়ে আন্দোলন হয় না। দিন-ক্ষণ দিয়ে আন্দোলনের ডাক দিলে সেই আন্দোলন খাদে গিয়ে পড়ে।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া একসময় বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ ১০০ বছরেও ক্ষমতায় আসতে পারবে না। এখন আমরা ক্ষমতায় আছি। সংগ্রাম-আন্দোলন করে আমরা এতদূর পথ এসেছি। বন্দুকের নল যাদের ক্ষমতার উৎস, তারা আমাদের ক্ষমতার ভয় দেখান। বিএনপি গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য লড়াই করছে।
অতীতে বিএনপি প্রহসনের নির্বাচন করেছে এবং ভুয়া ভোটার লিস্ট তৈরি করেছে, অভিযোগ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা গণতন্ত্রকে গলা টিপে মেরেছে, সেই দলের লজ্জা হওয়া উচিত। ২৮ তারিখ বিএনপি নাকি ৪০ দল নামবে। গত এক বছর ধরে শান্তি সমবেশ করে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ অশান্তি চাইলে এতগুলো সমাবেশ কি করতে পারত তারা। ক্ষমতাসীন দল হয়ে দলের কর্মীরা ধৈর্যের পরীক্ষা দিচ্ছে।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার ছেলে মারা যাওয়ায় শেখ হাসিনা শোক জানাতে গিয়েছিল, কর্ণপাত করেনি। ২১ নভেম্বর শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছিল। সেই দলের সাথে কিভাবে সমঝোতা করি? আওয়ামী লীগের আমলে কি বিএনপির কোনো নেতাকে হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে হয়েছে?
সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপি রঙিন স্বপ্ন দেখছে, মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির নেতারা এখনই আসা শুরু করেছে, আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে উঠছে। বিএনপি রঙিন স্বপ্ন দেখছে। ফাঁপা বেলুন চুপসে যাবে। অভদ্র লোকেরা অশালীন ভাষায় কথাবার্তা বলে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমদের সভাপতিত্বে বিশেষ বর্ধিত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন—আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাহজাহান খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মেয়র শেখ ফজলে নুর তাপস প্রমুখ।