সর্ম্পক ডেস্ক: আগামী ৫০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের ৯০ লাখ মানুষকে অসহনীয় গরমের মধ্যে বসবাস করতে হবে অথবা অন্যত্র গিয়ে বসবাস শুরু করতে হবে। সোমবার প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আন্তর্জাতিক প্রত্নতাত্ত্বিক, জলবায়ু বিজ্ঞানী ও পরিবেশবিদরা জানিয়েছেন, তাপ আটকে রাখা গ্রিন হাউজ গ্যাস বর্তমানে যে মাত্রায় নির্গত হচ্ছে তা অব্যাহত থাকলে ২০৭০ সাল নাগাদ ৩০০ কোটি মানুষ অসহনীয় গরম পরিবেশে বাস করতে বাধ্য হবে। প্রতি ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে ১০০ কোটি মানুষকে হয় তুলনামুলক শীত অঞ্চলে অভিবাসন করতে হবে নতুবা চরম গরম পরিবেশের মধ্যে বসবাস করতে হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মানব সভ্যতার একটি বড় অংশই সবসময় ৬ থেকে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বার্ষিক তাপমাত্রা এলাকায় বসবাস করে আসছে। মানব স্বাস্থ্য ও খাদ্য উৎপাদনের জন্য আদর্শ পরিবেশ এটি। তবে এই প্রিয় স্থানটি এখন মানুষের সৃষ্ট বৈশ্বিক তাপমাত্রার কারণে পুরোপুরি বদলে যাচ্ছে। তাপমাত্রার এই ক্রমবৃদ্ধির কারণে অসংখ্য মানুষকে ‘প্রায় অবিশ্বাস্য’ চরম আবহাওয়ায় বাস করতে হবে।
এতে আরও বলা হয়েছে, মানুষকে জমির ওপর নির্ভর করতে হয়। তবে বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রের চেয়ে দ্রুত জমির তাপমাত্রা বাড়ছে। আগামী প্রজন্মের একটি বড় অংশ বেড়ে উঠবে ইতোমধ্যে উষ্ণ হয়ে ওঠা আফ্রিকা ও এশিয়ার দেশগুলোতে। জনসংখ্যা-বিষয়ক উপাদানের কারণে মানুষকে গড়ে ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বাস করতে হবে। আর ওই সময় বৈশ্বিক তাপমাত্রা বেড়ে দাঁড়াবে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর ফলে চরম গরম আবহাওয়ার শিকার হবে ভারতের ১২০ কোটি মানুষ, নাইজেরিয়ার ৪ কোটি ৪০ লাখ মানুষ, পাকিস্তানের ১ কোটি ৮০ লাখ মানুষকে। এই তালিকায় অষ্টম স্থানে আছে বাংলাদেশ। দেশটির ৯০ লাখ মানুষকে চরম গরম আবহাওয়ার মধ্যে বাস করতে হবে।
তথ্য: রাইজিংবিডি