অ্যাস্ট্রাজেনেকা জানিয়েছে, করোনার লক্ষণ প্রতিরোধে তাদের অ্যান্টিবডি চিকিৎসা পদ্ধতি কাজ করেনি। মঙ্গলবার (১৫ জুন) প্রতিষ্ঠানটি এক বিবৃতিতে এমন তথ্য জানিয়েছে।
বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, ট্রায়ালে যারা অংশ নিয়েছিলেন তাদের বয়স ১৮ বছরের বেশি ছিল। এদের কাউকেই কোভিডের টিকা দেওয়া হয়নি এবং ট্রায়ালের আট দিন আগে তারা সবাই করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছিলেন। তাদের দেহে অ্যান্টিবডি দেওয়ার পর এটি মাত্র ৩৩ শতাংশ কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে, যা পরিসংখ্যান বিবেচনায় উল্লেখযোগ্য নয়।
আস্ট্রাজেনেকার নির্বাহি ভাইস প্রেসিডেন্ট মিনি প্যাঙ্গালোস বলেছেন, ‘যদিও এই ট্রায়ালটি লক্ষণজনিত অসুস্থতার বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে শেষবিন্দু অতিক্রম করেনি, এরপরও আমরা পিসিআর নেগেটিভ অংশগ্রহণকারীদের AZD7442 দিয়ে চিকিৎসার পর প্রাপ্ত সুরক্ষার মাত্রা দেখে আমরা উৎসাহিত হয়েছি।’
মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি থেরাপি হচ্ছে এমন ব্যবস্থা যা ওষুধের মাধ্যমে প্রাকৃতিক অ্যান্টিবডিগুলির সংখ্যা বৃদ্ধি করে এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে। আস্ট্রাজেনেকার প্রতিদ্বন্দ্বী রিজিনিরন ফার্মাসিউটিক্যালস ইনকরপোরেশন এবং এলি লিলি অ্যান্ড কোম্পানি মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি থেরাপির উন্নয়ন করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় এই পদ্ধতি ব্যবহারের অনুমতি পেয়েছে প্রতিষ্ঠান দুটি।