যুক্তরাষ্ট্রের আগাম নির্বাচনের আর এক সপ্তাহ বাকী। এর আগেই দেশটির প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির স্বামীর উপর হিংসাত্মক হামলার ঘটনা ঘটেছে শুক্রবার। এই হামলা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং নির্বাচনের আগে দেশটিতে রাজনৈতিক উত্তেজনার বহিঃপ্রকাশ বলে সতর্ক করেছেন বিশ্লেষকরা।
শুক্রবার পল পেলোসির ওপর হামলার খবরের কয়েক ঘন্টা পরে, মার্কিন সরকার সারা দেশে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর কাছে সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে। এতে ‘আদর্শগত পার্থক্যের কারণে নির্বাচনের প্রার্থী ও কর্মীদের বাড়িঘরে হামলার ঘটনা ঘটতে পারে’ বলে সতর্ক করা হয়েছে।
একইদিন মার্কিন বিচার বিভাগ জানিয়েছে, পেনসিলভানিয়ার একজন ব্যক্তি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কংগ্রেসম্যানকে একাধিকবার ফোনে মৃত্যুর হুমকি দিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, হুমকি পাওয়া ওই কংগ্রেসম্যান ক্যালিফোর্নিয়ার ডেমোক্র্যাট এরিক সোয়ালওয়েল। এছাড়া কংগ্রেসম্যানের ওয়াশিংটন অফিসের একজন স্টাফ সদস্যকে ওই হুমকিদাতা বলেছে, সে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ক্যাপিটল হিলে আসছে।
জুলাই মাসে গভর্নর পদে রিপাবলিকান প্রার্থী লি জেলডিন নির্বাচনী প্রচারণা সময় হামলার শিকার হয়েছিলেন। কংগ্রেস সদস্য ও ডেমোক্রেটিক পার্টির উদারপন্থী নেত্রী প্রমিলা জয়পালকে সিয়াটলে তার বাড়ির বাইরে হ্যান্ডগান হাতে নিয়ে এক ব্যক্তি হুমকি দিয়েছিল। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে অপরাধমূলক পিছু নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়।
শুক্রবার পল পেলোসির ওপর হামলার আগে সন্দেহভাজন ব্যক্তি জানতে চেয়েছিল, ‘ন্যান্সি কোথায়?’ ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সমর্থকরা ক্যাপিটল হিলে হামলা চালিয়েছিল। ওই সময় এক ব্যক্তি বলেছিল, ‘তুমি কোথায়, ন্যান্সি? আমরা তোমাকে খুঁজছি।’
মধ্যবর্তী নির্বাচনের আগে এভাবে রাজনৈতিক নেতাদের ওপর হামলা ও হুমকির ঘটনা এটাই ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক চরমপন্থার উত্থান ঘটছে। পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক বলেই সতর্ক অবস্থানে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে।