দীর্ঘ এক বছর ধরে এই দিনের অপেক্ষায় ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের সেরা তারকা সাকিব আল হাসান। আজকের (২৮ অক্টোবর) দিন গিয়ে রাত পার হলেই ক্রিকেটে নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পাবেন। শেষ হবে আইসিসি কর্তৃক পাওয়া এক বছরের নিষেধাজ্ঞা। আজই তাই ক্রিকেটে নিষিদ্ধ সাকিবের শেষ দিন। কাল থেকে আবার ক্রিকেটের দুনিয়ায় মুক্ত বিহঙ্গের মতো উড়তে পারবেন বাংলাদেশের ‘পোস্টার বয়’ খ্যাত সাকিব।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৪ বছর কাটিয়ে দেওয়া সাকিব এত বড়সড় ভুল করে বসবেন, এমনটা কেউই হয়ত আশা করেনি। সাকিবের মতো অভিজ্ঞ একজন ক্রিকেটার, যিনি কিনা ক্রিকেটের আইন প্রণয়নকারী এমসিসির মেম্বার ছিলেন, সেই সাকিবই কি-না জুয়াড়ির প্রস্তাব গোপন করলেন। তাও এক-দুইবার নয় পাঁচবার।
বারবার ভারতীয় এক জুয়াড়ির সঙ্গে যোগাযোগ হওয়া সত্ত্বেও সাকিব সেটি আইসিসি, বিসিবি বা আকসুর কাছে প্রকাশ করেননি। যদিও জুয়াড়ি দীপক আগারওয়াল সাকিবকে টলাতে পারেননি, জড়াতে পারেননি ফিক্সিং কাণ্ডে। কিন্তু কোনো ক্রিকেট সংস্থাকে না জানানো বড় এক শাস্তির মুখে ঠেলে দেয় টাইগার দলের এই তারকাকে। জুয়াড়ির প্রস্তাব গোপন করার দায়ে গত বছরের ২৯ অক্টোবর আইসিসি দুই বছরের ক্রিকেটীয় নিষেধাজ্ঞা দেয় সাকিবকে। অর্থাৎ, এই সময়ের মধ্যে সাকিব ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট কোনো কিছুতে জড়িত হতে পারবেন না।
তবে এর মধ্যে এক বছরের ছিল স্থগিতাদেশ। অর্থাৎ প্রথম বছর যদি সাকিব সতর্কতার সঙ্গে আইসিসির দেওয়া বিধিনিষেধ মেনে কাটাতে পারে, তবেই পরের বছরের নিষেধাজ্ঞার খড়গ পোহাতে হবে না সাকিবকে। কিন্তু যদি সাকিব এই সময়ের মাঝে নতুন কোনো বিতর্কিত কাণ্ডে জড়ায়, তবে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে সাকিবের।
ক্রিকেটে ফিরতে মরিয়া সাকিব, খুব সাবধানে কাটিয়েছেন নিষেধাজ্ঞার প্রথম বছর। কোনো প্রকার ক্রিকেটীয় কার্যক্রমে জড়াননি। এমনকি সচেতনভাবে এড়িয়ে গেছেন সংবাদমাধ্যম। ফলে সাকিব এক বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে কাল থেকে ফিরতে পারবেন মাঠে, ক্রিকেটের মঞ্চে, মিরপুরে এমনকি দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা বিসিবিতে।