প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘শিশুদের জন্য সুন্দর ভবিষ্যৎ আমরা গড়ে যেতে চাই। এজন্য আমি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনাও করে দিয়েছি। আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। এই মর্যাদা ধরে রেখে আগামী দিনে দেশকে উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলবো। আর আজকের শিশুরাই হবে সোনার বাংলার আগামী দিনের কর্ণধার।’
বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) বিকেলে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধের ১নং গেটে আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস এবং মুজিববর্ষ উদযাপন কমিটির আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সকল শিশুদের শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শিশুদের গভীরভাবে ভালোবাসতেন। ভালোবাসতেন বলেই আমরা ১৭ মার্চকে শিশু দিবস হিসেবে ঘোষণা দেই। বঙ্গবন্ধু শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য স্বাধীনতার পরপরই যে সংবিধান দেন, সেই সংবিধানে শিশুদের অধিকার নিশ্চিত করেন। এছাড়াও শিশু অধিকার আইনও তিনি করে দেন। সেইসঙ্গে শিশুদের সুরক্ষার জন্য কেয়ার অ্যান্ড প্রটেকশন সেন্টার, যা বর্তমানে সরকারি শিশু পরিবার নামে পরিচিত, সেটা তিনি প্রতিষ্ঠা করে দেন।’
শিশুদের খেলাধূলায় আগ্রহ বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রতি উপজেলায় একটি করে মিনি স্টেডিয়াম তৈরি করে দিয়েছি। সেখানে শিশুরা খেলাধূলা করতে পারবে, প্রতিযোগিতা করতে পারবে। অন্তঃস্কুল খেলাধূলা প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক চর্চা ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাতে শুরু থেকে তারা নানা ধরনের শিক্ষা পেতে পারে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে শিশুরা সুরক্ষিত থাকবে, সুন্দর জীবন পাবে।’
বঙ্গবন্ধুর ১০২তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে সকাল সাড়ে ১১টায় বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধ বেদিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর চৌকস দল গার্ড অব অনার দেন। বিগউলে বেজে ওঠে করুন সুর। পরে বঙ্গবন্ধু, তার পরিবারের শহীদ সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধে নিহত ৩০ লাখ শহীদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়। পরে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বঙ্গবন্ধু ভবনে রক্ষিত মন্তব্য বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা। এরপর জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান। রাষ্ট্রীয় কর্মসূচী শেষ করে হেলিকপ্টার যোগে বেলা ১২টা ৪০মিনিটে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও বিকেল ৫টা ৪০মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকার উদ্দেশে টুঙ্গিপাড়া ত্যাগ করেন।
এ অনুষ্ঠানে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ এমপি, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সিনিয়র নেতা তোফায়েল আহম্মেদ এমপি, মতিয়া চৌধুরী এমপি, আব্দুর রাজ্জাক এমপি, শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি, মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি, শাহজাহান খান এমপি, বাহাউদ্দিন নাসিম এমপি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।