তাসরিনা শিখা
আজ ১৭ মার্চ আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শত বর্ষ জন্মবার্ষিকী। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে তার প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধা ।
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আমার তেমন কিছু লিখা হয়নি কখনো। শুধু মন দিয়ে শুনেছি তার কথা, প্রান ভরে পড়েছি, অনুভব করেছি তাকে। আজ যখন বাড়ি থেকে বের হচ্ছিলাম তখন আমার মনে হচ্ছিল আমার বাগানের ফুল, বড় গাছটিতে বসা পাখিটি আমার দিকে তাকিয়ে কিছু বলতে চাচ্ছে । রাস্তা দিয়ে যখন গাড়ী চালিয়ে যাচ্ছিলাম নিরব রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা গাছগুলো থেকে হিস হিস করে আমার কানে একটি শব্দ আসছিল, কেন কিছু বলতে চাও না? বলো একটু কিছু বলো। আমার হৃদয়ে যে পাখিটি ঘুমিয়ে থাকে র্নিবিগ্নে নিশ্চিন্তে সে আজ নড়েচড়ে ডানা ঝাপটা দিয়ে উঠে দাঁড়ালো, বললো আজ তোমাকে কিছু বলতেই হবে। আমার স্বপ্নের মাঝে কে একজন কানে কানে এসে বলে গেলো ভুলে যেও না আজ জাতির পিতার শত বর্ষ জন্মবার্ষিকী ।
আমি বারবার জবাব দেই আর মনে মনে বলি এত বড় একজন মানুষ সম্পর্কে বলার যোগ্যতা যে আমার নেই। যার হৃদয়ের গভীরতা সাগরের মতো গভীর, আকাশের মতো উদার ,সীমাহীন ভালোবাসা, যার বজ্র কণ্ঠে বাংলার সাত কোটি মানুষ এক হয়েছিলো তাকে নিয়ে আমি কি বলবো? আমার যে সে যোগ্যতাই নেই। আমি যে বড় ক্ষুদ্র একজন মানুষ। এত বড় একজন মানুষ যিনি আমাদের জাতির পিতা। তাকে নিয়ে কিছু লিখতে আমার বুক কাঁপে হাত কাঁপে , মনে হয় ভুল কিছু লিখে ফেললাম নাতো?
কিন্তু আমি যখন ভিরু বোকা বোকা, সহজ সরল একটি মেয়ে ছিলাম। সব কিছুতে ছিলো ভয়। জানতাম না প্রতিবাদের ভাষা। একদিন কেমন করে যেনো বোকার মতো সাহসি হয়ে উঠলাম। একজন মুক্তিযোদ্ধাকে একজনের সাথে অন্যায় আচরণ করতে দেখে শাসিয়ে ছিলাম, বলেছিলাম বঙ্গবন্ধুকে সব জানাবো। যদিও সে লোকটি আমার মতো পিচ্চি ছিপছিপে মেয়েটির কথায় এক ফোটাও আমল দেয়নি। তবুও আমি সাহসি হয়ে প্রতিবাদ করেছিলাম। সে প্রথম বার আমি সাহসি হয়েছিলাম। বঙ্গবন্ধুর নামটি প্রথম বারের মতো সাহসি করে তুলেছিলো । সে থেকে আমি একজন সাহসি মানুষ হয়ে উঠেছি ।
আজ আমি বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীতে শুধু এতটকুই বলতে পারি, বাংলাদেশ তুমি ফিরে এসো বঙ্গবন্ধুর কণ্ঠে । বঙ্গবন্ধু তোমার বজ্র কণ্ঠের মতো শক্তিশালী হোক বাংলাদেশ । তুমি জ্বল জ্বলে আলো হয়ে জ্বলে থাকো আমাদের সকল বাঙালীদের প্রাণে। আমরা যেন কবি গুরুর গানের মতো করে বলতে পারি ‘সার্থক জনম আমার জন্মেছি এই দেশে’।