গবেষণা এবং পর্যালোচনাঃমোহাম্মাদ হাবিব উল্লা দুলাল,টরন্টো কানাডা।
আজ ফাল্গুনের প্রথম দিন ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। ফাগুনে গাছে গাছে ফুটেছে শিমুল ও পলাশ। প্রকৃতি সেজেছে বাহারি রঙে।
পাতা ঝরা এই দিনে দখিনা বাতাসে ভাসছে পাখিদের গান। হৃদয়ের ব্যাকুলতা নিয়ে আবারও এসেছে বসন্ত। আর ভালোবাসার দিবস ইতিহাসে “সেন্ট ভ্যালেন্টাইনস ডে” নামে পরিচিত। এর প্রচলন পশ্চিমের পৃথিবীতে।
‘মেলিয়া আঁখি তবুও ফুটেছে জবা, দুরন্ত শিমুল গাছে গাছে, তার তলে ভালোবেসে বসে আছে বসন্তপথিক।’
বাঙালির জীবনের সঙ্গে একাকার হয়ে আছে বসন্ত। বসন্তের বন্দনা আছে কবিতা, গান, নৃত্য আর চিত্রকলায়। বসন্তের প্রথম দিনকে বাঙালি পালন করে ‘প্রথম ফাল্গুন-বসন্ত উৎসব’ হিসেবে।
মোগল সম্রাট আকবর প্রথম বাংলা নববর্ষ গণনা শুরু করেন ১৫৮৫ সালে। নতুন বছরকে কেন্দ্র করে ১৪টি উৎসবের প্রবর্তন করেন তিনি। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বসন্ত উৎসব।
বসন্ত আর ভালোবাসা দিবস দুই-ই মিলেমিশে একাকার। দুই উৎসবের উদযাপন একদিনে, তাই আনন্দ অন্যবছরের চেয়ে বেশি।
ইটপাথরের নগরেও মানুষ উদযাপন করছে দিনটি। বসন্ত আর ভালোবাসাকে একইসঙ্গে বরণ করার আনন্দে নগরের অলি-গলিতে বেজে উঠবে সুর, ‘আহা আজি এ বসন্তে’/‘বসন্ত এসে গেছে’/‘মনের রঙ লেগেছে বনের পলাশ জবা অশোকে’।
এতো আনন্দের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে সাজ-পোশাকেও।বসন্ত আর ভালোবাসার রঙে নিজেকে সাজিয়েছেন তরুণ-তরুণীরা।
বসন্ত ও ভালোবাসা মিলেমিশে একাকার হয়ে আছে সারা দেশে। আজ মেতে উঠবে ফাল্গুনী আমেজে।
বাসন্তী রঙের শাড়িতে খোঁপায় হলুদ গাঁদা আর মাথায় ফুলের টায়রার সুষমার শৈল্পিকতা ফুটে উঠছে তরুণীদের। আর তরুণরাও ধরা দিয়েছে হলুদ পাঞ্জাবিতে। তবে এবার হয়নি বসন্ত বরণের অনুষ্ঠান।