অন্তর্জালে ভাইরাল হয়ে রাতারাতি খ্যাতি পাওয়া কণ্ঠশিল্পী রানু মারিয়া মন্ডল ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে বলেন, ‘আমি ভালো নেই। আগের থেকেও পরিস্থিতি আরো বেশি খারাপ। সকালে নাস্তা করার মতো কিছু থাকে না। ফলে বাসি ভাত খেয়ে থাকছি। শরীরও ভেঙে পড়েছে।’
কয়েক দিন আগেই জানা যায়, রানু মন্ডল আবার সেই স্টেশনে ফিরেছেন। পথচারী আর পাড়াপড়শির সাহায্যে এখন তার জীবন চলছে। একাধিক ভারতীয় গণমাধ্যম দাবি করে, স্টেশন থেকে মুম্বাইয়ে পৌঁছে যাওয়া রানু মন্ডলের এই অধপতন হয়েছে তার অহংকারের কারণে। কিন্তু এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রানু।
রানুর ভাষায়—আমার অর্থনৈতিক অবস্থা বদলে যাওয়ার আগেই করোনা সংকট শুরু হয়। স্বাভাবিক কারণে অন্যদের মতো আমিও বেকার হয়ে পড়ি। লকডাউনের সময় মোটেই ভালো ছিলাম না।
রানু মন্ডল শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তার বুকজ্বালা ও হজমে সমস্যা দেখা দিয়েছে। কিন্তু চিকিৎসা করানোর মতো সামর্থ্য নেই বলে এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের রানাঘাট স্টেশন চত্বরে ছিল রানু মন্ডলের বাস। কিংবদন্তি শিল্পী লতা মঙ্গেশকরের ‘প্যায়ার কা নাগমা’ গান গেয়ে রাতারাতি সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে আলোচিত হন তিনি। সেখান থেকে সুযোগ পান বলিউডে। সংগীত পরিচালক হিমেশ রেশমিয়ার তত্ত্বাবধায়নে ‘হ্যাপি হার্ডি অ্যান্ড হির’ সিনেমার ‘তেরি মেরি কাহানি’ গানে কণ্ঠ দেন তিনি। এরপর ভালোই কাটছিল তার সময়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার ছবি দেখলেই বোঝা যেত, গ্ল্যামার জগতের চাকচিক্যের ছোঁয়া লেগেছে।
কিন্তু তারপর শুধুই সমালোচনা। ভক্তদের সঙ্গে বাজে আচরণের কারণে বিতর্কে জড়িয়েছেন। মেকআপ ও ঝলমলে পোশাক পরে ট্রলের শিকার হয়েছেন রানু মন্ডল।