দেশের ৭৪ জন শিল্পীকে নিয়ে ‘দিন দ্য ডে’ দেখবেন বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন অনন্ত জলিল। এ জন্য শিল্পীদের আমন্ত্রণও জানান তিনি। কিন্তু তার ডাকে সাড়া দেননি শিল্পীরা। এ জন্য অনন্ত জলিল দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
‘চেষ্টার কমতি ছিল না। কিন্তু তারা যদি না আসেন কী করার আছে!’ বলেন এই অভিনেতা।
নির্দিষ্ট দিনে ‘দিন দ্য ডে’ সিনেমার প্রদর্শনী শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন এই চিত্রনায়ক। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমরা মুখে বলি চলচ্চিত্র পরিবার, কিন্তু আমরা যখন কাজে দেখি না, তখন খুব কষ্ট লাগে। আমি চলচ্চিত্র পরিবারকে দাওয়াত দিয়েছি- একসঙ্গে দেখা করব, সিনেমা দেখব, আপনাদের (সাংবাদিক) সঙ্গে কথা বলব। তাহলে সবাই মনে করবে, আমাদের মধ্যে ইউনিটি আছে। কিন্তু আমি একা চেষ্টা করলে হবে না। এই মনমানসিকতা সবার মধ্যে থাকতে হবে।’
অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও অধিকাংশ শিল্পী অজুহাত বা কারণ দেখিয়েছেন দাবি করে অনন্ত বলেন, ‘আমি ববিতা আপাকে ফোন করেছিলাম, তিনি ফোন ধরেন নাই। চম্পা আপার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আমরা মনে করেছি, যেহেতু তারা তিন বোন, এক বোন আরেক বোনকে বলবে। উনারা আমাদের মাথার মুকুট। ববিতা আপা, সুচন্দা আপার সঙ্গে আমার কথা না হলেও আমার কথা হয়েছে চম্পা আপার সঙ্গে। আমাদের মধ্যে খুব ভালো সম্পর্ক। তিনি শুনে বললেন, তোমাকে আমরা অনেক ভালো জানি, তুমি কিছু করার চেষ্টা করছো।’
‘আলমগীর ভাইকে আমি অনেক এসএমএস পাঠিয়েছি, কোনো উত্তর নাই। পরে জানতে পারলাম তিনি কলকাতা। তারপরও আমি আমার বডিগার্ডকে দিয়ে রুনা লায়লা আপা, আলমগীর ভাইয়ের নাম লিখে বাসায় চিঠি পাঠিয়েছি। রুবেল ভাইকে আমি পাচ্ছিলাম না। আমি তার ভক্ত। পরে ইনভাইটেশন কার্ড ও ভয়েস মেসেজ দিয়েছি। আমি অপু বিশ্বাসকে কয়েকবার ফোন করেছি। পরে ধরে বলেছে, শুটে আছে। ইমনকে বললাম। সে বলল, ভাইয়া আমি কিছুতেই মিস করব না। কিন্তু সে আসেনি।’
অনন্ত কষ্ট নিয়ে বলেন, ‘আমি যতই সততা দেখাই, ততই দেখি পেছন থেকে কেউ যেন আমার পা টেনে ধরে রাখে। আমি যত চাই এই সিঁড়ি দিয়ে উঠে চলচ্চিত্রকে একটা ভালো জায়গায় নিয়ে যেতে, দেখি পেছন থেকে টেনে ধরে রাখে। এগুলো খুব কষ্ট লাগে!’