করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আমেরিকার ফেডারেল ও অঙ্গরাজ্যের কারাগারগুলোতে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৭০০ জন মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৭৫ হাজার বন্দি। বন্দিদের ৫ শতাংশের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছেন। বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে বন্দিদের অর্ধেকই করোনায় আক্রান্ত।
কারাগারের করোনাভাইরাসের বিস্তার কোনো মতেই ঠেকানো যাচ্ছে না। বর্তমানে কারাগারগুলোতে শনাক্তের হার গত এপ্রিল ও আগস্টের সংখ্যার চেয়ে ছাড়িয়ে গেছে।
নিউ ইয়র্কের রাইকার্স আইল্যান্ড জেল কমপ্লেক্সের সাবেক চিফ মেডিক্যাল অফিসার হোমার ভেন্টার্স এই সংখ্যাকে পরিসংখ্যানের চেয়েও ‘বিশাল’ বলে উল্লেখ করেছেন। আদালতের নির্দেশে তিনি দেশব্যাপী বেশ কিছু কারাগার পরিদর্শন করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি এখনো কারাগারগুলোতে যাচ্ছি। সেখানে লোকেরা অসুস্থ হয়ে পড়লে, তাদের পরীক্ষা তো করা হচ্ছেই না, এমনকি তাদের যত্নও নেওয়া হয় না। এতে তারা অনেক বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।’
কানসাস কারাগারের অর্ধেক বন্দিই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এই সংখ্যা রাজ্যটির মোট আক্রান্ত জনসংখ্যার তুলনায় আটগুণ। এ পর্যন্ত সেখানে ১১ জন বন্দি মারা গেছেন।
ডিসেম্বরে করোনা মহামারির দশ মাস চলছে এবং আমেরিকা দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ভ্যাকসিন কার্যক্রম সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া রাজনীতিবিদ ও নীতি নির্ধারকদের পক্ষে কঠিন।
কিন্তু এ মুহূর্তে কারাগারের ভেতর ভাইরাসটি কোনো বাধা ছাড়াই ছড়িয়ে পড়ছে। বন্দিরা সামাজিক দূরত্ব রাখতে পারছেন না। তাদের নিরাপত্তা রাষ্ট্রের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে।