‘৩-০ ব্যবধানে সিরিজ হারলেও আমি হতাশ হবো না’— জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিয়ে দেশ ছাড়ার আগে এমন কথা বলেছিলেন টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ। তরুণ দল মাঠে লড়াই করতে পারলেই মুখে হাসি ফুটতো তার। দল সেখানে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হেরেছে।
প্রথম ম্যাচ হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচ জেতে বাংলাদেশ। শেষটায় আবার হার। তবে শেষ ম্যাচের হার মেনে নিতে পারছেন না খালেদ মাহমুদ। হাতের মুঠোয় থাকা ম্যাচ হাতছাড়া করায় হতাশায় পুড়ছেন তিনি। ব্যাটসম্যানদের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে তার প্রশ্ন, ‘আর কবে শিখবে ক্রিকেটাররা?’ এই সিরিজ হারের দায় সবটা ক্রিকেটারদের দিয়ে সুজন প্রশ্ন রেখেছেন, বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা ভুল থেকে কবে শিক্ষা নেবেন, ‘আমি খুব হতাশ। আমরা বারবার বলি নিজেদের ভুল থেকে শিক্ষা নিতে। কিন্তু আমরা কবে সে শিক্ষাটা নেব। আমি পুরোপুরি ক্রিকেটারদের দোষ দেব। তাদের প্রয়োগ সম্পূর্ণ ভুল ছিল।’
শেষ টি-টোয়েন্টি জিততে বাংলাদেশকে ১৫৭ রান করতে হতো। ৩৪ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর শান্ত ও মাহমুদউল্লাহর মন্থর ব্যাটিং বাংলাদেশকে ডুবিয়েছে। ইনিংসের মধ্যভাগে দুজন মিলে ৪৭ বলে ৪৩ রান করায় বাংলাদেশের ইনিংস গতি পায়নি। তাদের ব্যাটিং নিয়ে খালেদ মাহমুদ বলেছেন, ‘আমি একটা স্কোর করে নিজের জায়গাটা ঠিক রাখলাম, এটা ওই ধরনের কিছু কিনা, আমি ঠিক জানি না। আপনি যদি ১০০ স্ট্রাইক রেটে খেলেন, তাহলে এখানে রান তাড়া করে জিততে পারবেন না। একজন-দুজনকে তো শট খেলতে হবে। ওদের দুজন ব্যাটসম্যানের স্ট্রাইক রেট দেখুন। এখানে ভিন্ন কিছু করার প্রয়োজন ছিল না। শর্ট বলকে যদি পুল করে ছক্কা মারার আত্মবিশ্বাস না থাকে, তাহলে তো মুশকিল।’
১০ রানে ম্যাচ হারকে অস্বাভাবিক বলছেন তিনি, ‘এখানে আমাদের জেতাটাই স্বাভাবিক ছিল। হারটা ছিল অস্বাভাবিক। আমরা জানি যে ওভারে আমাদের ১০-১২ করে লাগবে। কেউ দেখলাম যে একটা ছয় মারার চেষ্টা করছে না। সবাই ২-১ করে নিচ্ছে।’
এখান থেকে বেরিয়ে আসতে কী করণীয়, সেটা ক্রিকেটারদেরই জানা উচিত বলে মনে করেন সুজন, ‘করণীয়টা কী, এটা ক্রিকেটাররাই বলতে পারবে। এমন না যে ছেলেরা এখন দলে আসছে, আর যাচ্ছে। তারা একটা সময়ের জন্য সুযোগ পাচ্ছে। তারা জানে যে তাদের জায়গা নিয়ে এত কাড়াকাড়ি নেই। তাদের ঠিকঠাক সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। এমন অবস্থায় তো মন খুলে খেলা উচিত। আমি ওই মন খুলে খেলাটা দেখতে পাচ্ছি না।’
‘যাদের নেওয়া হয়েছে, তারা ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করা ক্রিকেটার। সবাই পারফর্ম করেই এখানে এসেছে। মুনিম শাহরিয়ার, পারভেজের কথা যদি বলেন, দুজনই লোকাল টি-টোয়েন্টিতে পারফর্ম করা ক্রিকেটার। আপনি সেরা পারফর্মারদেরই তো নিয়ে এসেছেন। তারা যদি পারফর্ম না করে, তাহলে কী আর করার থাকে!’ —যোগ করেন তিনি।