ভারতের আসামে ভারী বৃষ্টিপাত থেকে সৃষ্ট বন্যায় ২৭ জেলায় ৬ লাখ ৬২ হাজারের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া রাজ্যটিতে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ মে) এনডিটিভির এক খবরে একথা জানানো হয়েছে।
সংবাদ মাধ্যম জানায়, বন্যা কবলিত এলাকায় নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ ও যোগাযোগ নিশ্চিত করতে সব ধরনের কার্যক্রম চালাচ্ছে সরকারি বিভিন্ন দপ্তর। এছাড়া ১৩৫টি আশ্রয় কেন্দ্রে ৪৮ হাজার মানুষ অবস্থান করছেন। ১১৩ টি সরবরাহ কেন্দ্র খোলা হয়েছে। যেখান থেকে বন্যা কবলিত এলাকায় যথাযথভাবে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছেন, বন্যা কবলিত জেলাগুলির জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ১৫০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করা হয়েছে। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার ত্রাণ ব্যবস্থার অংশ হিসাবে রাজ্যের জন্য এক হাজার কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে।
সংবাদ মাধ্যম জানায়, লাগাতার বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট ভূমিধসের কারণে আসামের বরাক উপত্যকা এবং ডিমা হাসাও জেলা এবং প্রতিবেশী রাজ্য ত্রিপুরা, মিজোরাম এবং মণিপুরের সঙ্গে ট্রেন ও সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। ডিমা হাসাওতে প্রয়োজনীয় দ্রব্য সমগ্রী সরবরাহে সাহায্য করেছে ভারতীয় বিমান বাহিনী।
মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, রাজ্য সরকার বন্যা কবলিত এলাকায় প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সরবরাহ বজায় রাখতে এবং যোগাযোগের চ্যানেলগুলি পুনরুদ্ধার করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে। আশা করছি আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে রাজ্যের রেল যোগাযোগ এবং দুই তিনদিনের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ চালু করা সম্ভব হবে।
বুধবার (১৮ মে) ভারতীয় সেনাবাহিনী, ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (এনডিআরএফ), স্টেট ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (এসডিআরএফ), ফায়ার অ্যান্ড ইমার্জেন্সি সার্ভিস বন্যা কবলিত এলাকাগুলো থেকে ৮ হাজার ৫৪ জন মানুষকে উদ্ধার করেছে।