ইউক্রেন যুদ্ধের ১৪তম দিন চলছে। রাশিয়ার হামলায় দেশটির অধিকাংশ শহর ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হয়েছে। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সরকারি দপ্তর হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, যুদ্ধ জয়ের জন্য ইউক্রেনে রাসায়নিক বা জৈবিক অস্ত্রের হামলা চালানোর পরিকল্পনা করতে পারে মস্কো।
পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনে রাসায়নিক হামলা চালাতে পারে এমন উদ্বেগ প্রকাশের পর হোয়াইট হাউজ তাদের প্রতিক্রিয়া দেখাল।
হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) বলেন, ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের জৈবিক অস্ত্রের ল্যাব রয়েছে এবং দেশটিতে রাসায়নিক অস্ত্রের উন্নয়ন করা হচ্ছে রাশিয়ার এমন দাবি অযৌক্তিক। মস্কোর এ দাবি ‘সুস্পষ্ট চক্রান্ত।’ মূলত তারা পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী হামলা চালাতে এমন দাবি করছে।
এর আগে পশ্চিমা দেশগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করে জানায়, সামনের দিনগুলোতে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যকার যুদ্ধের তীব্রতা আরো বৃদ্ধি পেতে পারে। বিশেষ করে যুদ্ধে রাশিয়ার অপ্রচলিত অস্ত্র (কেমিক্যাল অস্ত্র) ব্যবহারের সম্ভাবনা রয়েছে।
কর্মকর্তারা জানান, আমাদের কাছে অনেকগুলো কারণ রয়েছে উদ্বিগ্ন হওয়ার। বিশেষ করে সিরিয়া যুদ্ধে রাশিয়া ও তাদের মিত্রদের কেমিক্যাল অস্ত্র ব্যবহার করতে দেখা গেছে।
জেন সাকি বলেন, ‘ইউক্রেনে রাসায়নিক বা জৈবিক অস্ত্রের হামলা চালানোর পরিকল্পনা করতে পারে রাশিয়া। আমাদের সবার সে দিকটিতে নজর রাখা উচিত।
এর আগে বুধবার যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক টুইট বার্তায় জানায়, মস্কো ইউক্রেনে হামলা চালাতে থার্মোবারিক রকেট ব্যবহার করছে। এই রকেটকে ভ্যাকুয়াম বোম হিসেবেও পরিচিত। মূলত এই বোমাগুলো উচ্চমাত্রার বিস্ফোরণ ঘটাতে বাতাস থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে এই বোমাটি।
এক টুইট বার্তায় রাশিয়ার দূতাবাস দাবি করে, ‘সম্প্রতি পাওয়া নথিগুলো’ থেকে জানা গেছে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে ইউক্রেনের ল্যাবগুলোতে জৈবিক অস্ত্রের উপাদান তৈরি করা হচ্ছে।