পূর্ব ইউক্রেনের বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত দুটি অঞ্চল দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে রাশিয়া। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের এমন সিদ্ধান্তের প্রতি নিজেদের সমর্থন জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সিরিয়া। এদিকে রাশিয়া ইউক্রেনে সেনা পাঠাতে শুরু করেছে বলে দাবি করেছেন ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ।
বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিভিন্ন গণমাধ্যম এ কথা জানায়।
রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদ সংস্থায় দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল মেকদাদ বলেন, প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সরকার স্বঘোষিত দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক (ডিপিআর) এবং লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিককে (এলএনআর) সব ধরনের ‘সহযোগিতা করার’ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পূর্ব ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে রাশিয়ার রাজনীতিবিদ দিমিত্রি সাবলিনের সঙ্গে বাশার আল-আসাদের আলোচনা হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী একথা জানান।
আরআইএ নভোস্তি সংবাদ সংস্থাকে সাবলিন বলেন, ২০০৮ সালে রাশিয়া-জর্জিয়া যুদ্ধের পরে সিরিয়া যেভাবে [জর্জিয়ান অঞ্চলের] দক্ষিণ ওসেটিয়া এবং আবখাজিয়াকে স্বীকৃতি দিয়েছিল ঠিক একইভাবে দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত রয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) থেকে রাশিয়া ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে ট্যাঙ্ক ও সেনা পাঠাতে শুরু করেছে। যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ বলেছেন, মূলত এর মাধ্যমে ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে।
স্কাই নিউজে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাজিদ জাভিদ বলেন, আজ ইউরোপের জন্য খুব অন্ধকার একটি দিন। আমরা যা দেখেছি এবং জানতে পারছি, তাতে এটা পরিষ্কার যে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সার্বভৌম ইউক্রেন এবং তাদের আঞ্চলিক অখণ্ডতার ওপর হামলা করেছেন। যুক্তরাজ্য সবসময়েই বলে আসছে ইউক্রেনের প্রতি মস্কোর এমন পদক্ষেপ কোনো অবস্থাতেই গ্রহণযোগ্য নয়।
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা দেখেছি পুতিন ইউক্রেনের বিচ্ছিন্নতাবাদী এলাকাগুলোকে স্বীকৃতি দিতে শুরু করেছেন। এখন তারা সেখানে সেনা পাঠাতে শুরু করেছে। এ থেকে এটা বোঝা যায় যে ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করেছে রাশিয়া।