দিন যতই যাচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি পোশাকের বাজার সম্প্রসারণ হচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় ইউরোপীয় ইউনিয়নে বাংলাদেশের পোশাকের চাহিদা বাড়ছে। ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত অতীতের চেয়ে বাংলাদেশ থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পোশাক আমদানি বেড়েছে।
চলতি বছরের জানুয়ারি-জুলাই পর্যন্ত সময়ে ইউরোপীয় পরিসংখ্যান সংস্থা ‘ইউরোস্ট্যাট’ ইইউ’র এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
তথ্যমতে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত সময়ে বাংলাদেশ থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ১ হাজার ১৩৫ কোটি ৫৪ লাখ মার্কিন ডলারের পোশাক আমদানি করেছে। আগের বছর একই সময়ে ইইউ ৯১৭ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলারের পোশাক আমদানি করেছিল। বছরের ব্যবধানে পোশাক আমদানি বেড়েছে ৩৯৮ কোটি ৩ লাখ মার্কিন ডলার বা ৪৩.৩৮ শতাংশ।
আলোচ্য সময়ে ইইউর বৈশ্বিক পোশাক আমদানি ২৪.৭৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২২ সালের জানুয়ারি-জুলাই সময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন পুরো বিশ্ব থেকে পোশাক আমদানি করেছে ৫ হাজার ৬৩৩ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলারের। এরমধ্যে বাংলাদেশ থেকে আমদানি করেছে ১ হাজার ১৩৫ কোটি ৫৪ লাখ মার্কিন ডলারের পোশাক।
আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় চলতি বছরের গত জুলাইয়ে বিশ্ব থেকে ইইউ’র আমদানি প্রবৃদ্ধি ২২.৭ শতাংশ এবং বাংলাদেশ থেকে ইইউ’র আমদানি প্রবৃদ্ধি ছিল ৩৬.৯ শতাংশ।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত সময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন চীন থেকে আমদানি ২৩.৫২ শতাংশ প্রবৃদ্ধিসহ ১ হাজার ৪৯৩ কোটি ৫৩ লাখ মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। উল্লেখযোগ্য অন্যান্য প্রবৃদ্ধির দেশগুলোর মধ্যে- কম্বোডিয়া ৪১.৫০ শতাংশ, পাকিস্তান ২৮.০৫ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়া ৩০.৮৬ শতাংশ, ভিয়েতনাম ২২.৭৮ শতাংশ এবং মরক্কো ১৬.৬৭ শতাংশ।
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্ততকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল জানান, এখন অবধি ইইউ’র আমদানি চিত্রতে একটি লক্ষণীয় প্রবৃদ্ধির ধারা প্রতীয়মান। যা স্পষ্টতই কোভিডের পরে বর্ধিত চাহিদা এবং কাঁচামালের মূল্য বৃদ্ধির ফলে ইউনিট প্রতি মূল্য বেড়ে যাওয়ার কারণে ঘটেছে। সম্প্রতি সময়ে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে, খুচরা বিক্রেতারা ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির বিশ্ববাজারের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে সংগ্রাম করছে। অনেক ইউরোপীয় ব্র্যান্ডের খুচরা বিক্রয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস পেয়েছে, যা তাদের ইনেভেন্টরি স্টক বাড়িয়েছে। বৈশ্বিক অর্থনীতিতে চ্যালেঞ্জের প্রেক্ষিতে, ইইউ’র আমদানি বছরের শেষ প্রান্তিকে কমতে পারে বলে মনে করছেন তিনি।