ইউরোপে ১২ থেকে ১৫ বছরের শিশু ও কিশোররা মহামারি করোনার টিকা পেতে যাচ্ছে। আগামী জুনে তারা এই টিকা পাবেন।
বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) বায়োএনটেক এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী উগুর সাহিন জার্মান সংবাদমাধ্যম ডের স্পাইজেলকে জানিয়েছেন, ইউরোপীয় নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠাতে এই টিকা এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এই টিকার ট্রায়ালের তথ্য মূল্যায়নে গড়ে চার থেকে ছয় সপ্তাহ সময় লাগে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলা এবং মহামারির অবসানের দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসাবে দেখা হয় শিশুদের টিকা দেওয়ার বিষয়টিকে। আগামী শিক্ষাবর্ষ শুরুর আগে শিশুরা টিকা পেলে এটি অভিভাবকদের ওপর ব্যাপক পরিমাণে চাপ কমাবে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সি শিশু-কিশোরদের করোনার টিকার জরুরি অনুমোদনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে আবেদন করেছিল ফাইজার। আগামী বুধবার একই ধরনের অনুমোদনের জন্য ইউরোপিয়ান মেডিসিন এজেন্সির কাছে আবেদন করা হবে বলে জানান সাহিন।
গত মার্চে ফাইজার-বায়োএনটেক জানিয়েছিল, তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুদের ওপর করোনার টিকা শতভাগ কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে। ছয় মাসের বেশি বয়সী শিশুদের করোনার টিকার অনুমোদনের জন্যও কাজ চলছে বলে জানিয়েছিল যৌথ প্রতিষ্ঠানটি।
সাহিন বলেন, ‘জুলাইয়ে পাঁচ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের ট্রায়ালের ফলাফল হাতে আসবে এবং এরচেয়ে কম বয়সীদের ফল আসবে সেপ্টেম্বরে।’ চলমান ট্রায়ালের ফলাফল অনেক বেশি উৎসাহব্যঞ্জক বলেও জানিয়েছেন তিনি।