ইন্দোনেশিয়ার মেরাপি পর্বতে সৃষ্ট অগ্নুৎপাতে বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) ২৫০ জনেরও বেশি মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও প্রশমন সংস্থার প্রধান আব্দুল মুহারী বলেন, বিশ্বের অন্যতম সক্রিয় আগ্নেয়গিরি থেকে রাতে একাধিকবার অগ্ন্যুৎপাত ঘটায় গ্যাস, আগ্নেয়গিরির ছাই, শিলা উদগীরন এবং লাভা ৫ কিলোমিটারেরও বেশি নিচে প্রবাহিত হয়েছে। এতে ২৫৩ জন মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে।
মুহারি আরো বলেন, লাভা ও বাতাসে আগ্নেয়গিরির উপাদান ছড়িয়ে পড়ায় বাসিন্দাদেরকে মেরাপি পর্বতের ৭ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের এলাকা থেকে সরে যেতে বলা হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার সাংস্কৃতিক রাজধানী যোগিয়াকার্তার কাছে ঘনবসতিপূর্ণ জাভা দ্বীপের কিছু অংশে উত্তপ্ত মেঘ ও ধোঁয়ায় আকাশ ঢেকে রয়েছে।
মাউন্ট মেরাপি ২০২০ সালের নভেম্বরে উদগীরন ঘটার পর থেকে সর্বোচ্চ দ্বিতীয় সতর্কতার স্তরে রয়েছে।
২০১০ সালে শেষ বড় ধরণের অগ্ন্যুৎপাতে ৩ শতাধিক লোকের প্রাণহানি ঘটেছিল এবং আশেপাশের এলাকা থেকে প্রায় ২ লাখ ৮০ হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নিতে হয়েছিল।
এটি ছিল ১৯৩০ সালের পর সবচেয়ে শক্তিশালী অগ্নুৎপাত, যাতে প্রায় ১ হাজার ৩০০ জনের প্রাণহানি ঘটেছিল। ১৯৯৪ সালের এক অগ্ন্যুৎপাতে প্রায় ৬০ জনের মৃত্যু হয়।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দ্বীপপুঞ্জের দেশটিতে প্রায় ১৩০টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে।