ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম সুমাত্রার মারাপি আগ্নেয়গিরি বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১১ জন পর্বতারোহীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৪ ডিসেম্বর) বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছে স্থানীয় উদ্ধারকর্মীরা।
দেশটির সুমাত্রা দ্বীপের দুই হাজার ৮৯১ মিটার চূড়ার মাউন্ট মারাপি থেকে তিন হাজার মিটার ব্যাপ্তি নিয়ে আকাশে ছাই উদগীড়নের মাধ্যমে এই আগ্নেয়গিরির থেকে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয় গতকাল রোববার।
অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দলের মুখপাত্র জোডি হরিয়াওয়ান বলেছেন, অগ্নুৎপাতের সময় এলাকায় ৭৫ জনের মধ্যে ১১ পর্বতারোহীর মৃতদেহসহ সোমবার তিনজনকে জীবিত পাওয়া গেছে। ১২ জন নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজ ব্যক্তিদের খুঁজে বের করার জন্য অনুসন্ধান কার্যক্রম নিরাপত্তার ঝুঁকির কারণে সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি এখন অনুসন্ধান চালিয়ে যাই তবে এটি হবে খুব বিপজ্জনক।’
পশ্চিম সুমাত্রার প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংস্থা জানিয়েছে, ওই এলাকা থেকে ৪৯ জন পর্বতারোহীকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং অনেককে পুড়ে যাওয়ার কারণে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
সংস্থাটির প্রধান রুডি রিনালডি জানান, পর্বতারোহীদের অনেকেই চিকিৎসা সহায়তা নিয়েছে। তিনি বলেন, ‘প্রচণ্ড তাপে অনেকের শরীর পুড়ে গেছে, তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আগ্নেয়গিরিটির জ্বালামুখের কাছে যারা ছিল তারাই বেশি আঘাত পেয়েছে।’
মারাপি হলো সুমাত্রা দ্বীপের সবচেয়ে সক্রিয় আগ্নেয়গিরিগুলোর একটি এবং এটির সবচেয়ে মারাত্মক অগ্ন্যুৎপাত হয়েছিল ১৯৭৯ সালের এপ্রিলে। সেই সময় ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
ইন্দোনেশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরের তথাকথিত ‘রিং অব ফায়ারে’ অবস্থিত হওয়ায় দেশটিতে ভূমিকম্প ও অগ্নুৎপাতের ঘটনা একটি নিয়মিত ব্যাপার। দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে ১৩০টির মতো সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে।