রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মঙ্গলবার ইরান সফর শুরু করেছেন। ইউক্রেনে হামলার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের প্রতি মস্কোর চ্যালেঞ্জের অংশ হিসাবে আঞ্চলিক শক্তিশালী দেশগুলোতে সম্পর্ক জোরদারেরই উদ্দেশ্যেই তিনি এ সফর শুরু করেছেন।
পুতিন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সাথে তেহরানে বৈঠক করবেন। তাদের এই বৈঠকে সিরিয়ার সংঘাত এবং বিশ্বব্যাপী খাদ্য সঙ্কট দূর করতে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানি পুনরায় শুরু করার জাতিসংঘ সমর্থিত প্রস্তাবসহ গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক ইস্যুতে আলোচনা হবে। রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্বের শান্তিপূর্ণ সমাধানের পাশাপাশি কৃষ্ণ সাগরের মধ্য দিয়ে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানির নিরাপদ পথ তৈরির জন্য মধ্যস্থতাকারী তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানকে পুতিনের সঙ্গে সরাসরি বৈঠকের সুযোগ করে দিতে চায় ইরান।
ইউক্রেনে হামলার পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমারা রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে এবং এর ফলে রাশিয়াকে ব্যয়বহুল সামরিক অভিযান অব্যাহত রাখতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে পুতিন রাশিয়ার বাণিজ্যিক ও সামরিক অংশীদার বাড়াতে ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের চেষ্টা করছেন। হোয়াইট হাউসের মতে, ইউক্রেনে সম্ভাব্য ব্যবহারের জন্য তেহরানের সশস্ত্র ড্রোন পর্যালোচনা করতে রাশিয়ার কর্মকর্তারা সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে অন্তত দুবার ইরানের একটি বিমানঘাঁটি পরিদর্শন করেছেন।