ইসরায়েলি নির্যাতনের হাত থেকে রেহাই পায়নি হাসপাতালের চিকিৎসকও। বার্তা সংস্থা এএফপিকে ওই চিকিৎসক ইসরায়েলি নির্যাতনের ভয়াবহ বিবরণ দিয়েছেন।
সাইদ আবদুলরহমান মারুফ নামের ওই ফিলিস্তিনি চিকিৎসক জানিয়েছেন, ডিসেম্বরে ইসরায়েলি বাহিনী যখন ঘেরাও করে তখন গাজা শহরের আল-আহলি আল-আরব হাসপাতালে কাজ করছিলেন তিনি। তাকে হাসপাতাল থেকে আটক করে নিয়ে যায় সেনারা। প্রায় সাত সপ্তাহের কারাবাসের সময় তাকে হাত-পা বেঁধে রাখা হয়েছিল এবং চোখ কাপড় দিয়ে আটকে রাখা হতো। তাকে এমন জায়গায় ঘুমাতে বলা হয়েছিল যেখানে শুধু নুড়ি পাথর ছড়িয়ে আছে। ঘুমানোর সময় তার কানের সামনে উচ্চস্বরে গান বাজানো হতো।
মারুফ বলেন, ‘ইসরায়েলি কারাগারে অত্যাচার খুব কঠিন ছিল। আমি একজন ডাক্তার। আমার ওজন ছিল ৮৭ কিলোগ্রাম। আমি ৪৫ দিনে ২৫ কিলোগ্রামের বেশি ওজন হারিয়েছি। আমি আমার ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছি। আমি মনোযোগ হারিয়ে ফেলেছি। আমি সব অনুভূতি হারিয়ে ফেলেছি।’
তিনি জানান, তাকে কোথায় আটকে রাখা হয়েছিল সে সম্পর্কে তার কোনো ধারণা নেই। কারণ তাকে আটকের সময় চোখ বেঁধে রাখা হয়েছিল। ৪৫ দিন পর তাকে কেরেম শালোম ক্রসিং-এ নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল এবং রেড ক্রস তাকে তুলে নিয়েছিল।