ইসরায়েলি ট্যাঙ্ক ও সেনারা বৃহস্পতিবার গাজা শহরের চারদিক ঘিরে রেখেছে। কিন্তু তারা হামাস যোদ্ধাদের মর্টার হামলা এবং টানেল থেকে হিট-অ্যান্ড-রান হামলার মুখোমুখি হচ্ছে।
গাজার উত্তরেরে যে অংশে মূল জনগোষ্ঠীর বাস, সেখানে যুদ্ধ প্রবল হচ্ছে। এই এলাকাটি হামাসের প্রধান ঘাঁটি। হামাসকে নিশ্চিহ্ন করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে বেসামরিক নাগরিকদের এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
ইসরায়েলের সামরিক কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইতজিক কোহেন বলেছেন, ‘আমরা গাজা শহরের দরজায় রয়েছি।’
হামাস ও তার মিত্র ইসলামিক জিহাদের যোদ্ধারা টানেল থেকে হঠাৎ করে এসেই ট্যাঙ্কে গুলি চালাচ্ছে এবং অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে। অনেক বেশি শক্তিশালী সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে গেরিলা ধাঁচের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গাজার এক বাসিন্দা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘তারা সারা রাত গাজা শহরে বোমাবর্ষণ বন্ধ করেনি, বাড়ি কখনই কাঁপানো বন্ধ করেনি। কিন্তু সকালে আমরা আবিষ্কার করি যে, ইসরায়েলি বাহিনী এখনও শহরের বাইরে, উপকণ্ঠে এবং এর মানে প্রতিরোধ তাদের প্রত্যাশার চেয়ে ভারী।’
বাসিন্দারা গাজা শহরের চারপাশে মর্টারের গুলি ছোড়ার খবর দিয়েছে এবং জানিয়েছে, ইসরায়েলি ট্যাঙ্ক ও বুলডোজার কখনও কখনও ধ্বংসস্তূপের উপর দিয়ে চলছে। এগুলো নিয়মিত রাস্তার পরিবর্তে ভবন ভেঙে ফেলছে।
গাজার দক্ষিণও ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা থেকে রেহাই পায়নি। খান ইউনিস শহরের কাছে ট্যাঙ্কের গোলাগুলিতে তিন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া শরণার্থী শিবিরে জাতিসংঘের একটি স্কুলের বাইরে বিমান হামলায় পাঁচজন নিহত হয়েছে।
ইসরায়েলের সামরিক প্রকৌশলীদের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইদ্দো মিজরাহি আর্মি রেডিওকে বলেছেন, গাজায় প্রবেশ পথ খোলার প্রথম পর্যায়ে রয়েছে সেনারা।
ইদ্দো মিজরাহি বলেন, ‘এটি অবশ্যই সেই ভূখণ্ড যেখানে অতীতের তুলনায় অনেক বেশি মাইন ও বুবি ফাঁদ পাঁতা হয়েছে। হামাস শিখেছে এবং নিজেকে প্রস্তুত করেছে।’