ঈশ্বরদীতে উপজেলা প্রশাসন ও সমাজসেবা কার্যালয়ের ব্যবস্থাপনায় অনগ্রসর জাতিগোষ্ঠীর ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা উপবৃত্তির আওতায় ২১ জন শিক্ষার্থীর মাঝে উপবৃত্তির চেক বিতরণ করা হয়েছে।
রোববার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের আয়োজনে দুই মেধাবী হরিজন শিক্ষার্থীকে শিক্ষা উপবৃত্তির চেক বিতরণের মধ্যদিয়ে চলতি অর্থবছরের কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছ।
সমাজসেবা কর্মকর্তা খোন্দকার মাসুদ রানার সভাপতিত্বে অনাড়ম্বর এই অনুষ্ঠান অতিথি হিসেবে দুই হরিজন শিক্ষার্থী মিথিলা রানী ও দীপা সাহার হাতে উপবৃত্তির চেক তুলে দেন ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আতিয়া ফেরদৌস কাকলী। ঈশ্বরদী হরিজন এডভোকেসি গ্রুপের সভাপতি ও সাংস্কৃতিক সংগঠক খোন্দকার মাহাবুবুল হক এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সমাজসেবা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর প্রতিটি পরিবারের ছেলে-মেয়েদের শিক্ষিত করে তোলা, ঝোরে পড়ার হার কমানো, বাল্যবিয়ে ও যৌতুকপ্রথা বন্ধে সরকারি উদ্যোগে শিক্ষা উপবৃত্তি কার্যক্রম চালু রয়েছে। এই শিক্ষা উপবৃত্তি কার্যক্রমের আওতায় চলতি অর্থবছরে অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর মোট ২১ শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপবৃত্তির চেক বিতরণ করেছে ।
সমাজসেবা অফিসার খোন্দকার মাসুদ রানা জানান, এক বছরের এককালীন হিসেবে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে দেওয়া হয়েছে ৯ হাজার ৬০০ টাকার শিক্ষা উপবৃত্তির চেক। ব্যাংক থেকে তারা টাকা উত্তোলন করবে। তবে স্কুলে নিয়মিত লেখাপড়া চলমান থাকলে মাধ্যমিক পর্যন্ত প্রতিবছর এই শিক্ষা উপবৃত্তি পাবে অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষা উপবৃত্তির চেক হাতে পেয়ে অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর ছাত্রছাত্রী ভীষণ খুশি। এক প্রতিক্রিয়ায় ঈশ্বরদী দড়িনারিচা পশ্চিম টেংরি হরিজন কলোনির মিথিলা রানী জানায়, লেখাপড়া শিখে সে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হতে চায়। শিক্ষাবৃত্তির টাকা অন্যকোনো কাজে নয় – সে এই টাকা লেখাপড়া পেছনেই ব্যয় করবে। দীপা সাহা বলে, ‘আমি ভাবতেই পারিনি সরকারে পক্ষ থেকে এতোগুলো টাকা পাবো। আমাদের দরিদ্র পরিবারে এই টাকা লেখাপড়ার জন্য অনেক