উচ্চ মূল্যস্ফীতি, জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় বিশ্বের অনেক বেশি শিশু ক্ষুধার্ত অবস্থায় রাত কাটাচ্ছে। ওয়ার্ল্ড ভিশন ইন্টারন্যাশনালের কমিশন করা একটি জরিপ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
১৬টি দেশে পরিচালিত সমীক্ষা অনুসারে, উচ্চ স্তরের মূল্যস্ফীতি এবং জীবনযাত্রার বর্ধিত ব্যয় বিশ্বব্যাপী ক্ষুধায় ভূমিকা রাখছে। সোমবার বিশ্ব খাদ্য দিবসের আগে প্রকাশিত এই সমীক্ষায় দেখা গেছে, জরিপে অংশগ্রহণকারী ৫৯ শতাংশ অভিভাবক তাদের পরিবারে শিশুর ক্ষুধা এবং অপুষ্টি নিয়ে খুব চিন্তিত, ৪৬ শতাংশ খাদ্য কেনার জন্য অর্থ খুঁজে পাওয়ার বিষয়ে চিন্তিত। ৩৭ শতাংশ অভিভাবক জানিয়েছেন, তাদের সন্তানরা প্রতিদিন সঠিক পুষ্টি পান না এবং ২১ শতাংশ জানিয়েছেন, তাদের শিশুরা গত মাসে ক্ষুধার্ত দিন পার করেছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে ক্ষুধার্ত অবস্থায় শিশুর বিছানায় যাওয়ার হার ৩৮ শতাংশ বেড়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, উত্তরদাতাদের ১৮ শতাংশ জানিয়েছেন, তাদের বাড়িতে ক্ষুধার্ত অবস্থায় একটি শিশু বিছানায় গেছে।
ওয়ার্ল্ড ভিশন ইন্টারন্যাশনালের প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রু মোরেলি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ক্ষুধা একটি বৈশ্বিক সমস্যা এবং এটি কোনো একটি দেশ বা বিশ্বের অংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়।’
উত্তরদাতাদের মধ্যে যারা জানিয়েছেন, তাদের সন্তানরা ক্ষুধার্ত অবস্থায় রাত কাটিয়েছে তাদের ৪৬ শতাংশ এর জন্য মূল্যস্ফীতি ও জীবনযাত্রার ব্যয়কে প্রধান কারণ হিসাবে উল্লেখ করেছে। পরবর্তী দুটি সবচেয়ে সাধারণ কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে নিম্ন পারিবারিক আয় (৩৯ শতাংশ) এবং ক্ষুধা নিবারণের জন্য পর্যাপ্ত সরকারি মনোযোগ না দেওয়া (২৫ শতাংশ)।
জরিপে যে ১৬টি দেশের ১৪ হাজার মানুষ অংশ নিয়েছে সেই দেশগুলো হচ্ছে-অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ, ব্রাজিল, ব্রিটেন, কানাডা, জার্মানি, জাপান, মেক্সিকো, পেরু, ফিলিপাইন, দক্ষিণ কোরিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চাদ, গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গো, ইরাক ও মালাউই।