ওয়াশিংটন ডি.সি: দেশমাতৃকার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা, দেশপ্রেম এবং উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে সোমবার ৪৯তম বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। সকালে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান শুরু হয়। যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের মান্যবর রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এ সময় বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়। দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা এবং কর্মচারীবৃন্দ পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এরপর রাষ্ট্রদূত দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দসহ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ্য মূর্তীতে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় মহান নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। বিজয় দিবস উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। বাণীগুলো যথাক্রমে পাঠ করেন দূতাবাসের ডিফেন্স এ্যাটাসে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম মইনুল হাসান এসপিপি, এনডিসি, পিএসসি, মিনিস্টার (প্রেস) শামিম আহমদ, মিনিস্টার (ইকনমিক) মো: মেহেদী হাসান এবং মিনিস্টার (পলিটিক্যাল) মো: নূরাল ইসলাম।
এরপর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ১৫ই আগস্টে নিহত বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যবৃন্দ, জাতীয় চারনেতা এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে স্বাধীনতা যুদ্ধের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরে বলেন পাকিস্তান সামরিকজান্তা বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগের কাছে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত হয়ে ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ নিরস্ত্র বাঙালীর উপর নির্মম হত্যাযজ্ঞ শুরু করে। বাঙালী জাতির স্বাধীনতা, গণতান্ত্রিক এবং ধর্মনিরপেক্ষ সমাজ প্রতিষ্ঠার আকাঙ্খাকে স্তব্ধ করার জন্যই পাকিস্তান সেনাবাহিনী বর্বর আক্রমন পরিচালনা করে। হানাদার বাহিনীর পৈচাশিক হত্যাকাণ্ডে বিশ্ব বিবেক স্তব্ধ হয়ে যায়। তিনি বলেন আমেরিকার জনগণ নির্যাতিত বাঙালীর পক্ষে অবস্থান নেন। এ প্রসঙ্গে তিনি সিনেটর এডওয়ার্ড কেনেডি, ঢাকায় নিযুক্ত প্রাক্তন কনসাল জেনারেল আর্চার ব্লাড , সঙ্গীত শিল্পী জর্জ হ্যারিসন এবং কবি এ্যালেন জিনসবার্গের অবদান স্মরণ করেন।
ঢাকা-ওয়াশিংটন দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ককে চমৎকার উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত দু’দেশের সহযোগিতাকে নতুন নতুন ক্ষেত্রে আরো বিস্তৃত করার উপর জোর দেন। সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু অডিটরিয়ামে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দূতাবাসের পরিবারবর্গ, বর্ণমালা স্কুল ও সৃষ্টি নৃত্যাঙ্গনের শিল্পীরা সঙ্গীত এবং নাচ পরিবেশন করেন। বিদেশী ক‚টনৈতিকবৃন্দ, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তাবৃন্দ, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
Disclaimer:
The editorial team is not responsible for the content of the writing.