ছবিতে এক জন নারীকে হাঁটুতে ভর দিয়ে বসে তার শিশু সন্তানকে বাহুতে জড়িয়ে ধরে বসতে দেখা যাচ্ছে। ওই নারীর কোলে যে শিশুটি রয়েছে সেটি কাফনে মোড়া মৃতদেহ। এটি তীব্র শোকের শান্ত মুহূর্ত। মাথায় স্কার্ফ পরা নারী মাথা নিচু করে বসে আছেন। তার কোলের শিশুটি সম্পর্কে আমরা কিছুই জানতে পারছি না- এমনকি তা ছেলে নাকি মেয়ে তাও জানি না।
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় নিহত হয়েছে এমন অনেকের মধ্যে এক জন শিশুটি। এই শিশুদের বেশিরভাগের নাম আমরা কখনই জানতে পারব না। তাদের মৃত্যু পরিবারের বেঁচে থাকা সদস্যদের মধ্যে আজীবন শোকের জন্ম দেবে।
রয়টার্সের চিত্রগ্রাহক মোহাম্মদ সালেম ১৭ অক্টোবর দক্ষিণ গাজা উপত্যকার খান ইউনিসে নাসের হাসপাতালের মর্গে ছিলেন। সেখানে বাসিন্দারা নিখোঁজ আত্মীয়দের সন্ধান করছিলেন। সালেম মর্গের বাইরে ওই নারীকে দেখতে পান। ক্রন্দরত নারীটি শিশুটির শরীরকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আছেন।
সালেম বলেন, ‘এটি শক্তিশালী এবং একটি দুঃখজনক মুহূর্ত ছিল। আমার কাছে মনে হচ্ছে, ছবিটি গাজা উপত্যকায় যা ঘটছে তার বিস্তৃত যোগফল। মানুষ বিভ্রান্ত ছিল, এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় দৌড়াচ্ছিল, তাদের প্রিয়জনের ভাগ্য জানার জন্য উদ্বিগ্ন এবং এই নারী আমার নজর কেড়েছিল যখন সে ছোট্ট মেয়েটির দেহ ধরেছিল এবং তাকে ছাড়তে অস্বীকৃতি জানাচ্ছিল।’