মধ্যাকর্ষণ শক্তি ব্যবহার করে বোমা ফেলতে সক্ষম এমন ড্রোন তৈরি করেছে ইসরায়েল। এসব ড্রোন থেকে ফেলা বোমা পড়ার সাথে সাথে কোন শব্দ বা ধোঁয়া উৎপন্ন করে না, যা শত্রুদের জন্য পূর্বাভাস পাওয়া বা হামলা এড়ানো কঠিন করে তোলে। এই ড্রোনের বৃহত্তম মডেলটি এক টন যুদ্ধাস্ত্র বহন করতে পারে। বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি বাহিনীর বরাত দিয়ে রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
দুই দশকেরও বেশি সময় গোপনীয়তার পর ইসরায়েল জুলাই মাসে তার এই সশস্ত্র ড্রোন সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ করেছিল। নভেম্বরে একজন ইসরায়েলি জেনারেল বিমান বাহিনী ও গোলন্দাজ ইউনিট পরিচালিত ড্রোনগুলোর বিষয়ে বিশদ বিবরণ দিয়েছিলেন। এই ড্রোন দিয়ে ফিলিস্তিনি শত্রুদের বাড়ির কাছাকাছি এবং সম্ভবত ইরান বা সুদান পর্যন্ত লক্ষ্যবস্তুর ওপর হামলার বিশদ বিবরণ দিয়েছিলেন। ক্যামিকাজ ড্রোন থেকে এই ড্রোনগুলো একেবারেই ভিন্ন। গত শনিবার ইরানের ইস্পাহানের একটি প্রতিরক্ষা কেন্দ্রে এই ড্রোন দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে বলে তেহরান অভিযোগ করেছে। তবে এ ব্যাপারে ইসরায়েল কোনও মন্তব্য করেনি।
একজন ইসরায়েলি সামরিক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, সশস্ত্র ড্রোন বহরে যাত্রীবাহী বিমানের আকারের হেরন টিপি এবং রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ইসরায়েল অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এবং এলবিট সিস্টেমস লিমিটেডের (ইএসএলটি.টিএ) ছোট হার্মিস অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
তিনি বলেছেন, ‘আইডিএফ (ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী) এর কাছে এটি সবচেয়ে ভারী ড্রোন, যা প্রায় এক টনের বোমাসহ যুদ্ধাস্ত্র বহন করতে পারে।’