ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে পদ্মা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এক ডাক্তারের প্যাড ব্যবহার করে অন্য ডাক্তাররা রোগী দেখছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এরই প্রেক্ষিতে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটির মালিককে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে উপজেলা প্রশাসন।
শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার চান্দুরার আমতলী বাজারে অবস্থিত ডায়াগনস্টিক সেন্টারটিকে জরিমানা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ।
ইউএনও এ এইচ ইরফান উদ্দীন আহমেদ বলেন, ডাক্তার সুব্রত সাহার নামে তৈরিকৃত প্যাডে একেকদিন একেক ডাক্তার নিজেদের পরিচয় গোপন রেখে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী দেখেন। ডাক্তার সুব্রত সাহা সর্বশেষ গত ১৮ আগস্ট এই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী দেখেন। কিন্তু অভিযান পরিচালনাকালে দেখা যায়, ডাক্তার সুব্রত সাহার প্যাড ব্যবহার করে গত ২৫ আগস্ট থেকে আজ পর্যন্ত ভিন্ন নামের দুজন ডাক্তার রোগী দেখছেন। ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ২৫ আগস্ট তারিখে সুব্রত সাহার কাছ থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন এমন একজনকে পাওয়া গেলে তিনি জানান আজকে উপস্থিত ডাক্তার গত সপ্তাহে ছিলেন না। কিন্তু ডায়াগনস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষ তাকে জানিয়েছে উনি ডাক্তার সুব্রত সাহা।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার জন্য রোগী সেজে ডাক্তার সুব্রত সাহাকে ফোন দিলে তিনি জানান, সর্বশেষ ১৮ আগস্টের পর তিনি আর বিজয়নগর উপজেলায় রোগী দেখেননি। এতে প্রমাণিত হয় ডায়াগনস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যক্তিকে ডাক্তার সুব্রত সাহা নামে মানুষের নিকট অন্যায়ভাবে উপস্থাপন করেছেন এবং রোগীদের প্রতারিত করেছেন। এ ঘটনায় পদ্মা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক মো. খুরশিদ আলমকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। খুরশিদ আলম নিজের প্রতিষ্ঠানের এই অপরাধ স্বীকারও করেন।
এছাড়া, আজ রোগী দেখতে আসা ডাক্তার তপন দেবনাথ নিজের ভুল স্বীকার করেন এবং ভবিষ্যতে এমনটি হবে না মর্মে লিখিতভাবে জানান। ডাক্তার তপন দেবনাথের কাছ থেকে লিখিত অঙ্গীকারনামা নেওয়া হয়েছে।
অভিযান পরিচালনাকালে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মাসুম, বিজয়নগর থানার পুলিশ ও স্যানিটারি ইন্সপেক্টর উপস্থিত ছিলেন।