ভারতে ‘এক দেশ এক ভোট’ নীতি কার্যকর করতে চাইছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার। শুক্রবার এই সংক্রান্ত কমিটির প্রধান সাবেক প্রেসিডেন্ট রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সভাপতি জেপি নাড্ডা দেখা করেছেন দিল্লিতে।
তবে সরকারের এই উদ্যোগের সমালোচনা করেছে বিরোধীদের জোট ‘ইন্ডিয়া’। শুক্রবার জোটের বৈঠকে এই ‘এক দেশ এক ভোট’ নীতির ব্যাপক সমালোচনা করা হয়।
‘এক দেশ, এক ভোট’ নীতি বিজেপির পুরনো লক্ষ্য। ২০১৪ এবং ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের ইস্তাহারে ছিল সে কথা। অটলবিহারী বাজপেয়ী প্রধানমন্ত্রী থাকার সময়েও এ নিয়ে তিনি উদ্যোগী হয়েছিলেন। তবে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে যে এমন পথ নেওয়া হতে পারে তেমন ইঙ্গিত প্রধানমন্ত্রী মোদি দিয়ে রেখেছিলেন ২০১৯ সালের স্বাধীনতা দিবসের ভাষণেই। কিন্তু বিজেপি সম্প্রতি সেভাবে এই বিষয়টি নিয়ে সরব হয়নি। জল্পনা শুরু হয় বৃহস্পতিবার হঠাৎ করে লোকসভার বিশেষ অধিবেশন ডাকার পরে।
১৮ সেপ্টেম্বর থেকে পাঁচ দিনের জন্য লোকসভা কেন বসবে তা নিয়ে জল্পনায় নানা কথা বললেও বিজেপি নেতারা প্রথম দিকে বিষয়টি বুঝতে পারেননি। শুক্রবার সকালেই ‘এক দেশ এক ভোট’ নীতি কার্যকরের লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়। এর প্রধান করা হয় প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে।
একই সময়ে লোকসভা ও বিধানসভার নির্বাচন করার পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলা হয়েছে, নির্বাচন করার বিপুল খরচ। একবার লোকসভা ও আরেকবার বিধানসভা ভোট করা হলে প্রচুর অর্থ খরচ হয়। কিন্তু একসঙ্গে ভোট করালে সেই অর্থ অনেকটাই বেঁচে যাবে। একই দিনে ভোট হলে ভোট পরিচালনার ক্ষেত্রেও অনেক সুবিধা হবে। প্রশাসনিক দিক থেকেও প্রচুর সুবিধা হবে। এর পাশাপাশি একই সময় দুটি ভোট হলে ভোটের প্রতি মানুষের আগ্রহ অনেকটাই বাড়বে।
অবশ্য সমালোচকদের মতে, এই ধরনের ভোট করার ক্ষেত্রে সমস্যাও রয়েছে। একই সঙ্গে দুটি ভোট হলে স্থানীয় সমস্যাগুলির উপর নজর দেওয়া যাবে না। সেগুলি অবহেলিত থেকে যাবে। সেই সঙ্গে জাতীয় দলগুরো একেবারে টাকা পয়সা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বে। কিন্তু আঞ্চলিক দলগুলো নির্বাচনে পাত্তাই পাবে না।