এখন জীবন যেন মৃত্যুর ফলা,
নিশ্বাসে প্রশ্বাসে অভিশাপ,
মেরুদন্ডে জমে আছে ভয়,
গহীন অন্ধকার চারি দিক – বিভীষিকাময়!
এক দিন আগামীর স্বপ্নে বিভোর ছিলো
সব গুলো চোখ,
উদ্দীপ্ত হাত গুলো একজোট, যেন
লৌহ শিকল,
ছিল শৈকতে গড়াগড়ির তপ্ত হৃদয় জুড়ে
সমুদ্র স্নান,
সন্ধ্যার আলোছায়ায় সময় ছিল ওষ্ঠ ও
ঠোঁটে প্রনয় খোঁজার,
যুগল প্রেমে উদ্ধত জিহবার ফণা অবারিত
যুদ্ধে বারবার
ফুটিয়েছে সুখ, রাত্রি নেমে এলে ধীরে, নক্ষত্রের চাদর
গায়ে ভালোবাসাবাসি ক’রে ওরা ঘাস
ফড়িংয়ের মত ঘুমিয়ে পড়েছে সবুজ
ঘাসেই আলিনংগনে।
এখনও সন্ধ্যা নামে অরণ্য ঘন,
ভেসে আসে অগণিত মৃত্যুর শোক,
চকচকে বার্নিসে খয়েরী কফিন।
এখন, নিজ গৃহে পরবাস, অন্য রকম বেঁচে
থাকা, বেঁচে থাকার
ভিন্ন নিয়ম,
এখন সঙ্গরোধ,
মৃত্যু উপত্যাকা অগণিত শহর, দেশ,
গোটা বিশ্বলোক!
এখন মানুষ মানুষের অসুখ, মহামারী,
সেনিটাইজড জীবন,
জীবনের ক্ষণ গুলো দখলে রেখেছে মৃত্যুর
অনিবার্যতা।
যুদ্ধ নয় কামান -গোলা’র। তবু,
ভ্রুকুটিকুটিল বাঁধা ধেয়ে আসে কাছে!
একটি অণুজীব –
তারই কাছে পরাজিত ব্রক্ষ্মা এখন!