কুতুব মিনার কে নির্মাণ করেছিলেন তা নিয়ে এবার ভারতে বিতর্ক শুরু হয়েছে। নতুন করে এই বির্তকে উস্কে দিয়েছেন আর্কিওলজিক্যাল সার্ভের অব ইন্ডিয়ার প্রাক্তন এক কর্মকর্তা। তার দাবি, কুতুব উদ্দিনের আইবেকের নির্দেশ নয় বরং সম্রাট বিক্রমাদিত্যের নির্দেশ এটি তৈরি করা হয়েছিল। ওই সাবেক কর্মকর্তার সঙ্গে সুর মিলিয়ে হিন্দুত্ববাদী দলগুলো দাবি করছে, কুতুব মিনারের মধ্যে হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি পাওয়া গেছে, তাই মিনার সংলগ্ন এলাকায় খনন করা উচিত।
সম্প্রতি ধর্মবীর শর্মা নামের সাবেক ওই কর্মকর্তা দাবি করেছিলেন, রাজা বিক্রমাদিত্য সূর্যের গতিবিধি নিয়ে চর্চার জন্য এই মিনার তৈরি করেছিলেন। কুতুবুদ্দিন আইবেক এটি নির্মাণ করেননি।
এর আগে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ দাবি করেছিল, কুতুব মিনারের প্রকৃত নাম বিষ্ণু স্তম্ভ। এই মিনার তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছিল ২৭টি হিন্দু এবং জৈন মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ থেকে নেওয়া নির্মাণ সামগ্রী। হিন্দু ও জৈন ধর্মাবলম্বীরা এই মিনার নির্মাণ করেছিল।
নতুন করে বিতর্ক শুরু হওয়ায় সংস্কৃতি সচিব গোবিন্দমোহন শনিবার কুতুব মিনার এলাকার পরিদর্শন করেন। তিনি তিন জন ইতিহাসবিদ, আর্কিওলজিক্যাল সার্ভের চার কর্মকর্তা এবং কয়েকজন গবেষককে নিয়ে ওই চত্বর পরিদর্শন করেন। খনন ও সমীক্ষার পর তার রিপোর্ট মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে বলা হয়েছে। মিনারের দক্ষিণ অংশে মসজিদ থেকে ১৫ মিটার দূরে ওই খনন শুরু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অবশ্য রোববার কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কুতুব মিনারের খনন কাজ শুরু হবে- এ জাতীয় নির্দেশ এখনও পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। এ ধরনের কোনও সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়নি।
সম্প্রতি হিন্দুত্ববাদী দলগুলো দাবি করেছে, তাজমহল জয়পুর রাজপরিবারের সম্পত্তি। জোর করে সম্রাট শাহজাহান জমি কেড়ে নিয়ে সেখানে স্মৃতি সৌধ নির্মাণ করেছেন। গত মাসে বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়েও দাবি করা হয়েছে, ওই মসজিদের ভেতরে রয়েছে শিবলিঙ্গ। মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব মন্দির ভেঙে মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন।