হুমায়ূন কবীর ঢালী
“এসো, এসো, এসো হে বৈশাখ
তাপস নিঃশ্বাস বায়ে মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে,
বৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক
যাক পুরাতন স্মৃতি, যাক ভুলে যাওয়া গীতি,
অশ্রুবাষ্প সুদূরে মিলাক।
মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা,
অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা
রসের আবেশ রাশি শুষ্ক করি দাও আসি,
আনো আনো আনো তব প্রলয়ের শাঁখ
মায়ার কুজ্ঝটিজাল যাক দূরে যাক।”
নতুন বছরের শুরুতে সব পাপ পঙ্কিলতা ধুয়ে মুছে পবিত্র হোক ধরণী এই কামনা করেছেন কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। আমরাও সেই কামনা করি। বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে পহেলা বৈশাখ উদযাপন এদেশের প্রাচীন ঐতিহ্যগুলোর একটি। এই দিনটি উদযাপনের মাধ্যমে বাঙালির ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রবাহকে বাঁচিয়ে রাখে। পহেলা বৈশাখ বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় এবং বাঙালির সর্বজনীন উৎসব হিসেবে, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে অর্থাৎ বাংলা নববর্ষ উৎসবটি পালন করে আসছে। নিঃসন্দেহে এটি বাঙালির প্রাণের উৎসব। ঐতিহ্যের ধারক-বাহক। এটিকে বাঙালির মিলনমেলাও বলা যায়। নিজের ও অন্যের মধ্যে সব বিভেদ, জরা আর দুঃখকে ভুলে, যা পুরনো আর জীর্ণ, তাকে বাদ দিয়ে বাঙালি নতুন শপথে উদ্দীপ্ত হয়। এক কাতারে দাঁড়িয়ে সবাই প্রত্যাশা করে নতুন বছরটি যেন হয় সুখের, সব কিছু হয় যেন সুন্দর ও অনাবিল সৌন্দর্যম-িত।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছেন, ‘তাপস নিঃশ্বাস বায়ে, মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে’, অর্থাৎ জীবনের সব জীর্ণতা-দীনতা বিদায়ের দিন হিসেবে গণ্য পহেলা বৈশাখ।বৈশাখের সঙ্গে বাঙালির বিশ্বাস এবং অভ্যাস জড়িয়ে রয়েছে। রয়েছে নানাবিধ সংস্কার। প্রাণের মেলা।
‘পহেলা বৈশাখ বাংলা সনের প্রথম দিন। এ দিনটি বাংলাদেশে নববর্ষ হিসেবে পালিত হয়। এটি বাঙালির একটি সর্বজনীন লোকউৎসব।এদিন আনন্দঘন পরিবেশে বরণ করে নেওয়া হয় নতুন বছরকে। কল্যাণ ও নতুন জীবনের প্রতীক হলো নববর্ষ। অতীতের ভুলত্রুটি ও ব্যর্থতার গ্লানি ভুলে নতুন করে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় উদযাপিত হয় নববর্ষ। এদিন সরকারি বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে।
এক সময় নববর্ষ পালিত হতো আর্তব উৎসব বা ঋতুধর্মী উৎসব হিসেবে। তখন এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল কৃষি ও কৃষকের; কারণ কৃষিকাজ ছিল ঋতুনির্ভর। কৃষক ছিল সাধক।এই কৃষিকাজের সুবিধার্থেই মোগল সম্রাট আকবর ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দের ১০ কী ১১ মার্চ বাংলা সন প্রবর্তন করেন এবং তা কার্যকর হয় তাঁর সিংহাসন-আরোহণের সময় থেকে (৫ নভেম্বর ১৫৫৬)। হিজরি চান্দ্রসন ও বাংলা সৌরসনকে ভিত্তি করে বাংলা সন প্রবর্তিত হয়। নতুন সনটি প্রথমে ‘ফসলি সন’ নামে পরিচিত ছিল, পরে তা বঙ্গাব্দ নামে পরিচিত হয়।’
জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত না হওয়া পর্যন্ত পহেলা বৈশাখ পালন হতো খাজনা আদায়ের উৎসব হিসেবে। পরে পারিবারিক ও সামাজিক জীবনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে মিশে পহেলা বৈশাখ পরিণত হয় আনন্দময় এক উৎসবে। নববর্ষ পালিত হতে থাকে শুভ দিন হিসেবে। জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হওয়ার পর নববর্ষের মূল উৎসব ছিল হালখাতা। এটা ছিল পুরোপুরিই ব্যবসায়ীক ব্যাপার। ব্যবসায়ীরা তাদের পুরনো হিসাবপাতি সম্পন্ন করে নতুন হিসাবের খাতা খুলতেন, এটাই ছিল হালখাতা। হালখাতা উপলক্ষে তারা নতুন পুরাতন খদ্দেরদের আমন্ত্রণ জানিযে মিষ্টিমুখ করাতেন ও নতুন করে তাদের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক স্থাপন করতেন। চিরাচরিত এই উৎসব আজও বাংলাদেশের কোথাও কোথাও এবং ভারতের পশ্চিমবাংলায় প্রচলিত রয়েছে। প্রতি বছর এপ্রিল মাস এলেই চারদিকে শুরু হয় বৈশাখী উৎসবের নানা আয়োজন। আমরা শিশুবেলায় গ্রামীণ সমাজে দেখেছি, পহেলা বৈশাখ মানে চারদিকে সাজসাজ রব। ঘরে ঘরে উন্নত খাবার-দাবারের ব্যবস্থা। নতুন পোশাক-আশাকের গরজ পরিবারে। এই নিয়ে গ্রামীণ সমাজে জনশ্রুতি ও সংস্কারও ছিল, নববর্ষের প্রথম দিনের সব শুভ কাজ সারাবছরের কাজের গতি সঞ্চার করে। ফলে শুধু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানই নয়, বাড়িঘর, সামাজিক প্রতিষ্ঠানও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন-পরিপাটি করে রাখা হতো। আসলে এর মূলে রয়েছে পুরনো জরা-জঞ্জাকে দূর করার অভিপ্রায়।এখনও বাঙালিরা, বিশেষ করে গ্রামীণ সমাজজীবনে আগের রীতিনীতি ধরে রাখার চেষ্টা করলেও শহুরে জীবনে এসব অনেকটা বদলে গেছে। এখন নতুন করে তরুণ-যুবারা নতুন ইমেজে বৈশাখ পালন করে।
বৈশাখ উদযাপন
বাংলাদেশে পহেলা বৈশাখ উদযাপনের ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে আছে যে সাংস্কৃতিক সংগঠনটি নাম তার ছায়ানট। সূর্য উঠার সাথে সাথে রমনার বটমূলে শুরু হয় বর্ষবরণের গান। তারপর দিনভর চলে পান্তা ইলিশ আর চিড়ে, মুড়ি, মুড়কিসহ নানা বাঙালিয়ানা খাদ্য ও উৎসব। সাথে নতুন জামা কাপড়। মেলায় ঘোরাঘুরিও বাদ যায়না।
আগেই উল্লেখ করেছি, পহেলা বৈশাখ সারা পৃথিবীর বাঙালিদের জন্য এক অভিন্ন উৎসব। ধর্ম-সম্প্রদায় নির্বিশেষে এটা উদযাপন করা হয়।বাংলাদেশে যেমন এটি উদযাপন করা হয়, তেমনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরা আর উড়িষ্যা রাজ্য এবং পৃথিবীর যেখানে বাঙালি জনগোষ্ঠী আছে সেখানেই উদযাপন করা হয়। বাংলাদেশের যেসব স্থানে বৈশাখী মেলা বসে সেসবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: ঢাকার গেন্ডারিয়া, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, সাভার, রংপুরের পায়রাবন্দ, দিনাজপুরের ফুলছড়ি ঘাট এলাকা, মহাস্থানগড়, কুমিল্লার লাঙ্গলকোট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, মহেশপুর, খুলনার সাতগাছি, ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল অঞ্চল, সিলেটের জাফলং, মণিপুর, বরিশালের ব্যাসকাঠি-বাটনাতলা, ভোলার পার্বতী পুকুরপাড়, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, টুঙ্গিপাড়া ও মুজিবনগর এলাকা। ঢাকার নিকটবর্তী শুভাঢ্যার বৈশাখী মেলা, টঙ্গীর স্নানকাটা মেলা, মিরপুর দিগাঁও মেলা, সোলারটেক মেলা, শ্যামসিদ্ধি মেলা, ভাগ্যকুল মেলা, কুকুটিয়া মেলা এবং রাজনগর মেলা উল্লেখযোগ্য। দিনাজপুরের ফুলতলী, রাণীশংকৈল, রাজশাহীর শিবতলীর বৈশাখী মেলাও বর্তমানে বিরাট উৎসবের রূপ নিয়েছে।
দিনে দিনে বৈশাখী উৎসবের রূপ বদল হয়েছে। আমাদের শিশুবেলায় গ্রামে বৈশাখী উৎসবের যে আকার ও আচরণ দেখেছি, সেইরূপ আর নেই। কালের পরিক্রমায়, কর্পোরেট সংস্কৃতির আবহে বৈশাখী উৎসব এখন কিছুটা পোশাকি আকার ধারণ করেছে। বিশেষ করে ঢাকায় পরিবর্তনের ছোঁয়াটা যেন একটু বেশি। সে বিষয়ে ব্যাখ্যায় যাওয়া এই নিবন্ধে সমীচীন হবে বলে মনে হয় না। তাছাড়া বৈশাখের আনন্দটা মাটি করাও ঠিক হবে না। তবে ঢাকায় রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিটিউটের উদ্যোগে প্রতিবছর পহেলা বৈশাখে মঙ্গল শোভাযাত্রা পহেলা বৈশাখের আনন্দ ও ঐতিহ্য ধারণ করে আছে স্বমহিমায়, বাঙালির প্রাণের চেতনায়। এই শোভাযাত্রায় চারুকলার শিক্ষকÑশিক্ষার্থী ছাড়াও বিভিন্ন স্তরের, বিভিন্ন ধরনের প্রতীকী শিল্পকর্ম বহন করা হয়। আনন্দের বিষয় এই যে, বাংলাদেশের বাংলা বর্ষবরণের অন্যতম অনুসঙ্গ মঙ্গল শোভাযাত্রা জাতিসংঘ সংস্থা ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর থেকে। এর ফলে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেল বাঙালির ঐতিহ্যবাহী মঙ্গল শোভাযাত্রা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিটিউটের উদ্যোগে ১৯৮৯ সাল থেকে শুরু হয়েছিল মঙ্গল শোভাযাত্রা।সে বছরই লোকজনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয় এই আনন্দ শোভাযাত্রা। সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিটিউটের শিক্ষক শিক্ষার্থীগনণ পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রা বের করে প্রথম বারের মতো। শোভাযাত্রায় থাকে বিশালকায় চারুকর্ম পাপেট, হাতি ও ঘোড়াসহ বিচিত্র সাজসজ্জা। থাকে বাদ্যযন্ত্র ও নৃত্য। সেই সাথে শোভাযাত্রায় দেশজ কৃষ্টি-কালচারের পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকেও ফুটিয়ে তোলা হয় নানাভাবে। শুরুতে চারুকলার শোভাযাত্রাটির নাম মঙ্গল শোভাযাত্রা ছিল না। তখন এর নাম ছিল বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা। ১৯৯৬ সাল থেকে চারুকলার এই আনন্দ শোভাযাত্রা মঙ্গল শোভাযাত্রা হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ১৯৮৬ সালে চারুপীঠ নামের একটি প্রতিষ্ঠান যশোরে প্রথমবারের মতো নববর্ষ উপলক্ষে আনন্দ শোভযাত্রার আয়োজন করে। যশোরের সেই শোভাযাত্রায় ছিল পাপেট, বাঘের প্রতিকৃতি, পুরনো বাদ্যসহ আরো অনেক শিল্পকর্ম। শুরুর বছরেই যশোরে সেই শোভাযাত্রা আলোড়ন তৈরি করে। যশোরের সেই শোভাযাত্রার উদ্যোক্তাদের একজন মাহবুব জামাল শামীম মাস্টার্স ডিগ্রি নিতে পরে ঢাকার চারুকলায় চলে আসেন। পরবর্তীতে যশোরের সেই শোভাযাত্রার আদলেই ঢাকার চারুকলা থেকে শুরু হয় বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা।
ছায়ানটের প্রসঙ্গে আসি। ছায়ানট বাংলাদেশের অন্যতম সাংস্কৃতিক সংগঠন। ১৯৬১ সালে এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও উৎসব পালন করা ছাড়াও এই সংগঠন বাদ্যযন্ত্র, সঙ্গীত,নৃত্য প্রভৃতি বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান ও সঙ্গীত বিদ্যালয় পরিচালনা করে থাকে। পহেলা বৈশাখের অন্যতম আকর্ষণ রমনার বটমূলে ছায়ানটের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত বর্ষবরণ অনুষ্ঠান।
বাঙালির শাশ্বত সংস্কৃতিরূপ প্রতিষ্ঠার অভিপ্রায় নিয়ে ছায়ানট পরিবেশিত অনুষ্ঠানমালা
জাতির প্রাণে জাগায় নতুন উদ্দীপনা, সঙ্গীত-সংস্কৃতির চর্চা-সূত্রে জাতিসত্তার চেতনা বলবান হয়। ছায়ানটের উদ্যোগে জাতির শৈল্পিক ও মননশীল মেধার সম্মিলন ও অনুশীলন জাতিকে যোগায় বিকাশের বিবিধ অবলম্বন। ১৯৬৭ সাল থেকে প্রতি বছর বাংলা নববর্ষের প্রভাতি সঙ্গীতায়োজনের সুবাদে ছায়ানট বাঙালিত্বকে প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে স্বভূমিতে, স্বদেশের মুক্তি আন্দোলনে যা হয়ে ওঠে প্রেরণাদায়ক।
বাঙালি সংস্কৃতির একটি দিককে তুলে ধরার জন্য ঢাকায় পহেলা বৈশাখ উদযাপন শুরু
হয়েছিল।পাকিস্তান আমলে যখন ধর্মের ধুয়ো তুলে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করলো, তখন পাকিস্তানী এ অপশাসনকে অগ্রাহ্য করে বাঙালি সংস্কৃতিকে জাতির জীবনে ছড়িয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যে ছায়ানট প্রতিষ্ঠা পায়, বাঙালি সংস্কৃতিকে জাতীয় জীবনে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য নানা উদ্যোগ গ্রহণ করে তারা। পহেলা বৈশাখ উদযাপন তাই হয়ে উঠেছিল একটি আন্দোলন। ছায়ানট যার কা-ারি। সঙ্গীতের সুরে সেই আন্দোলন ঢাকার গ-ি ছাড়িয়ে সারাদেশে আলোড়ন তুলেছিল। আজ সেই আলোড়ন পরিণত হয়েছে প্রতিটি বাঙালির প্রাণের উৎসবে।
যেভাবেই উদযাপন করা হোক, বর্ষবরণ স্বমহিমায় উজ্জ্বল এটাই আনন্দের কথা ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে বাঙালি বেরিয়ে আসে উৎসবে সামিল হতে, এটাই বড় কথা। রাজনৈতিক টানাপোড়েন, রাষ্ট্রীক ও সামাজিক নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত থাকার পরও বাঙালি নিজস্বতাকে না ভুলে, ঐতিহ্যকে বুকে ধারণ করে আছে, চেতনায় সুদৃঢ় ও উজ্জীবিত আছে এখনও; এটাই বাঙালির এগিয়ে যাওয়ার বড় শক্তি ও সম্পদ।
ঐতিহ্যে চেতনাদীপ্ত হোক বাঙালির হৃদয়। জয়তু বাঙালি।
তথ্যসূত্রঃ
১। বাংলাপিডিয়া, বাংলাদেশ জাতীয় জ্ঞানকোষ
২। এসো হে বৈশাখ, তারাপদ আচার্য্য, যুগের চিন্তা,
৩। উইকিপিডিয়া