ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসে এর আগে সর্বোচ্চ রান ছিল ৪৮১। যেটা ২০১৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে করেছিল ইংল্যান্ড। আজ শুক্রবার নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষের ম্যাচে সেই রেকর্ড ভেঙে দিয়ে নতুন ইতিহাস গড়েছে ইংলিশরা। প্রথম ওয়ানডেতে তিন সেঞ্চুরি আর এক হাফ সেঞ্চুরিতে ৩ উইকেট হারিয়ে তারা করেছে ৪৯৮ রান। যা ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ।
ইংল্যান্ডের হয়ে সেঞ্চুরি করেছেন ফিল সল্ট ১২২, দাওয়িদ মালান ১২৫ ও জস বাটলার ১৬২*। লিয়াম লিভিংস্টন করেছেন অপরাজিত ৬৬ রান।
নেদারল্যান্ডসের আমসটেলভিনে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১ রানে জ্যাসন রয়ের উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। স্ন্যাটারের বলে ১ রান করে বোল্ড হন তিনি। এরপর ২২৩ রানে দ্বিতীয় ও ৪০৭ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় ইংলিশরা।
দ্বিতীয় উইকেটে মালানের সঙ্গে ১৭০ বলে ২২২ রান তুলে আউট হন ফিল সল্ট। তিনি মাত্র ৯৩ বলে ১৪টি চার ও ৩ ছক্কায় ১২২ রান করেন। চতুর্থ ওয়ানডেতে এটা ছিল তার প্রথম সেঞ্চুরি। এর আগে তার সর্বোচ্চ সংগ্রহ ছিল ৫৭ রান।
তৃতীয় উইকেটে মালান সতীর্থ জস বাটলারকে নিয়ে ৯০ বলে ১৮৪ রানের জুটি গড়েন। দলীয় ৪০৭ রানের মাথায় পিটার সিলারের বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনের সামনে বাস ডি লিডের হাতে ধরা পড়েন মালান। যাওয়ার আগে ১০৯ বলে ৯টি চার ও ৩ ছক্কায় ১২৫ রান করে যান। তারও এটা ছিল ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। এর আগে তার সর্বোচ্চ সংগ্রহ ছিল অপরাজিত ৬৮।
এরপর বাটলার ও লিয়াম ভিলিংস্টন ইনিংস শেষ করে আসেন। চতুর্থ উইকেটে তারা দুজন ৩২ বলে তোলেন ৯১ রান। তার মধ্যে লিভিংস্টন মাত্র ২২ বলে ৬টি চার ও সমান সংখ্যক ছক্কায় ৬৬ রানে অপরাজিত থাকেন। তিনি হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ১৭ বলে। মাত্র দুই বলের জন্য ছুঁতে পারেননি দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ড। অন্যদিকে ৪৭ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করা বাটলার ছিলেন ভীষণ মারমুখী। ৩৭ রানের মাথায় জীবন পাওয়া এই ব্যাটসম্যান মাত্র ৭০ বলে অপরাজিত থাকেন ১৬২ রানে। যা তিনি ৭টি চার ও ১৪ ছক্কায় করেন।
পুরো ইনিংসে ছক্কা বৃষ্টি হয়। ইংল্যান্ডের চারজন ব্যাটসম্যান মোট ২৬টি ছক্কা হাঁকান। অন্যদিকে রান বন্যায় ভেসে যান নেদারল্যান্ডসের বোলাররা। তাদের মধ্যে ফিলিপে বইসেভিন ১০ ওভারে সর্বোচ্চ ১০৮ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন। শেন স্ন্যাটার ১০ ওভারে ৯৯ রান দিয়ে নেন ১টি উইকেট। পিটার সিলার ৯ ওভারে ৮৩ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন। অন্যদিকে বাস ডি লিড ৫ ওভারে ১৩ ইকোনোমি রেটে ৬৫ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন।