ওয়াশিংটন ডি.সি: আজ শনিবার ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর যুগান্তকারি ভাষণ বাঙ্গালী জাতিকে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে অনুপ্রাণিত করে। রেসকোর্স ময়দানে এই ঐতিহাসিক ভাষণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার দিক-নির্দেশনা দেন।
এই ঐতিহাসিক দিনটি উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাস বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে। যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন ৭ই মার্চের গুরুত্ব ও তাৎপর্য ব্যাখ্যা করে বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ৭ই মার্চ বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি অনন্য দিন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ ইতিহাসের একমাত্র ভাষণ যার মাধ্যমে একটা জাতি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। রাষ্ট্রদূত বলেন, বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণকে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐহিত্যের অমূল্য প্রামাণ্য দলিল হিসেবে তাদের ওয়ার্ল্ড মেমোরি রেজিস্ট্রারে অন্তর্ভূক্ত করে স্বীকৃতি দিয়েছে।
মান্যবর রাষ্ট্রদূতরে নতেৃত্বে দূতাবাসরে র্কমর্কতা ও র্কমচারীবৃন্দ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দয়িে দিনের অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের উপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয় এবং মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। বাণীগুলো পাঠ করেন দূতাবাসের ডিফেন্স এ্যাটাসে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মঈনুল হাসান এবং মিনিস্টার (প্রেস) শামিম আহমদ। পরে বঙ্গবন্ধু এবং ১৫ই আগস্টে নিহত বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যবৃন্দ এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।