করোনাভাইরাসের সংক্রমণের প্রভাবে শিল্পোৎপাদন কমে গেছে। এর প্রভাব পড়েছে পুঁজিবাজারে। জানা গেছে, এই ভাইরাসের সংক্রমণের প্রভাবে বিশ্বের ৫০০ শীর্ষ ধনকুবেরের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৪৪ হাজার ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩০টি বড় প্রতিষ্ঠানের পুঁজিবাজারের সূচক নির্ধারণকারী সংস্থা ডৌ জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাভারেজ (ডিজেআইএ) কমে গেছে ১২ শতাংশ। ২০০৮ সালের অর্থনৈতিক মন্দার পর এই পতন ছিল সবচেয়ে বড়। এই সময় বৈশ্বিক পুঁজিবাজার প্রায় ৬ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজারমূল্য হারিয়েছে। ব্লুমবার্গা ইনডেক্স বলেছে, বিশ্বের সবচেয়ে বড় ধনকুবের আমাজনের প্রতিষ্ঠান জেফ বেজোস, মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস এবং এলভিএমএইচের চেয়ারম্যান বারনার্ড আরনোল্ট সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এই তিনজনের ক্ষতি হয়েছে প্রায় তিন হাজার কোটি মার্কিন ডলার।
গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার মালিক ইলন মাস্কের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৯০০ কোটি ডলার। ক্ষতির দিক থেকে চতুর্থ অবস্থানে আছেন বিশ্বের ধনকুবের তালিকায় থাকা ২৫ তম এই ব্যক্তি। মার্কিন ব্যবসায়ী ওয়ারেন বাফেটের ক্ষতি হয়েছে ৮৮০ কোটি ডলার।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। এই পরিস্থিতিতে সব ধরনের ব্যবসায়ীকেও ঝুঁকির মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে। চীনের পুঁজিবাজারের ক্ষতি সামাল দিতে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক উদ্যোগ নিয়েছে।
পর্যটন খাতেও এর প্রভাব পড়েছে। প্রমোদতরিতে ভ্রমণের ব্যবস্থা করে থাকে এমন প্রতিষ্ঠান কার্নিভ্যাল করপোরেশন। ডায়মন্ড প্রিন্সেস নামের যে জাহাজটি জাপানে কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছিল, সেটি এই প্রতিষ্ঠানের জাহাজ। এই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান মিকি এরিসনের ক্ষতি হয়েছে ১০০ কোটি ডলার। খবর এনডিটিভির।