এবার মহামারি করোনাভাইরাসের নতুন আরেক ভ্যারিয়েন্টের প্রকোপ চলছে ভারতে। আতঙ্ক ছড়াচ্ছে করোনার ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্ট। ইতোমধ্যে দেশটিতে ৪০ জনের বেশি মানুষের দেহে এই ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে।
মঙ্গলবার ভারতীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, মহারাষ্ট্র, কেরালা ও মধ্যপ্রদেশে ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে চার বছরের শিশুও রয়েছে। সংক্রমণ ঠেকাতে রাজ্য সরকারগুলোকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছিল।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে, মহারাষ্ট্রে ২১ জন, মধ্যপ্রদেশে ছয় জন, কেরালায় তিন জন, তামিলনাড়ুতে তিন জন, কর্নাটকে দুজন, পাঞ্জাব, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং জম্মু ও কাশ্মিরে তিন জনের দেহে ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে।
গেল বছর শেষের দিক থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনার ভ্যারিয়েন্ট B.1.617.2-এর জেরে ভারতে দ্বিতীয় ঢেউ দেখা দেয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একে করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্টটি প্রথম শনাক্ত হয়েছে ইউরোপে। এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হলে পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব, খিদে চলে যাওয়া, জোড়ায় জোড়ায় ব্যথা হতে পারে। এর পাশাপাশি জ্বর, ক্লান্তি, গলায় ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, শুকনো কাশি, চামড়ায় র্যাশ বের হওয়া, ডায়রিয়া, মাথায় যন্ত্রণা, স্বাদ চলে যাওয়া, গন্ধ চলে যাওযার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। আতঙ্কের বিষয় হচ্ছে, এই ভ্যারিয়েন্ট দ্রুত বিস্তার ঘটায় এবং সহজেই ফুসফুসের কোষগুলিতে আক্রমণ করে।
আশঙ্কা করা হচ্ছে, ভারতে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে অণুঘটক হয়ে উঠতে পারে ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্ট। এই সংক্রমণ দ্রুত হারে ছড়ানোর আগেই সব রকম সতর্কতা নিতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর ফের নতুন করে এই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ন্ত্রণ দুঃসাধ্য। এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, যে পদ্ধতিতে করোনা রোগীর চিকিৎসা করা হচ্ছে তা এই ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্টে কার্যকরী নয়। এমনকী প্রচলিত করোনা টিকাগুলির সবকটিও ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্টকে প্রতিরোধ করতে পুরোপুরি সক্ষম কিনা সেই নিয়েও চলছে পরীক্ষা-নিরীক্ষা।