সম্পর্ক ডেস্ক:- কানাডাতে করনো প্রাদুর্ভাব দিন দিনই বেড়েই চলছে। ৬ এপ্রিল পর্যন্ত এখানে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৭ হাজার, এবং মৃতের সংখ্যা প্রায় ৩২৫ এর কাছাকাছি। সরকারি স্বাস্থ্য সংস্থার বিবৃতিতে বলা হয়েছে কানাডা মৃতের সংখ্যা ৩০০০ থেকে ১৬০০০ গিয়ে ঠেকাতে পারে। তাই সতর্ক অবস্থায় থাকতে সকল নাগরিকের প্রতি সর্বাত্মক আহবান করা হয়েছে, বলা হয়েছে সরকারকে সহযোগিতা করতে।
অন্টারিওতে বর্তমানে বাংলাদেশী বসবাসরত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৩০ থেকে ৪০ হাজারের কাছাকাছি। আর এ মোট জনসংখ্যার বিশাল একটি গোষ্ঠী থাকেন বাঙালি শাসিত এরিয়া ড্যানফোর্থ এর আশেপাশেই। গত কিছুদিন বিভিন্ন সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি বাংলা কমিউনিটিতে করোনা ভাইরাসে অনেকেই আক্রান্ত হয়েছেন। ইতোমধ্যে রাজধানী অটোয়াতে ১ জন এবং অন্টারিওতে ১জনের মারা যাওয়ার সংবাদ বিভিন্ন পত্রিকা প্রকাশিত হয়েছে। তবে আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা বলা না গেলেও এ সংখ্যা একিবারে কমও নয়।
এবং প্রতিদিনই কারো না কারো আক্রান্ত হবার খবর প্রকাশ না করার শর্তে আমাদের হাতে আসছে। এখন কথা হলো স্যোসাল ডিস্টেন্স বা সমাজিক দূরত্বের যে কথাটি সরকারি ভাবে অত্যান্ত জোর দিয়ে বলা হচ্ছে তা কতটুকু মান্য করা হচ্ছ ড্যনফোর্থে। সরেজমিনে আমরা সেখানকার কয়েকটি গ্রোসারি দোকান পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি এক মানুষ থেকে আরেক মানুষের দূরত্ব বলতে যা বুঝানো হয়েছে তার কোনোটাই মানা হচ্ছে না সেসব দোকানে।
হতে পারে মানুষের প্রয়োজন বা দোকানের জায়গা সল্পতায় সেটা মানা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে যে কোন মানুষই এখানে করোনা আক্রান্ত হওয়া খুব জটিল কিছু না। যেহেতু এ এলাকাতে কেউ না কেউ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং অনেকে হাসপাতালে রয়েছেন ফলে সচেতনতা আরো বেশি জোরলো হওয়া উচিৎ ছিল, কিন্তু দুখের বিষয় এ এলাকায় তার কানাকড়ি ও পরিলক্ষিত হচ্ছে না।
যেহেতু এ সকল দোকানে বাঙ্গালি কাস্টমারই সবচেয়ে বেশি সেহেতু এই ধরণের অসচেতনতার কারনে বাঙ্গালী কমিউনিটিই অনেক বড় হুমকির সম্মুখীন।সচেতনতা আরো মজবুত এবং তড়িৎ কার্যকর করতে মূলত দোকান মালিককেও বড় ভুমিকা পালনে এগিয়ে আসতে হবে। এগিয়ে আসতে কমিউনিটিকেও। মনে রাখতে হবে পাড়ায় আগুন লাগলে দেবালয় ও কিন্তু তাতে রক্ষা পাবে না।