আমরা অল্প সময়ের মধ্যে আড়াই হাজার বেড থেকে ৭/৮ হাজার বেড বৃদ্ধি করেছি। দশ গুণ রোগীও আমরা সামাল দিতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু তারপরও রোগী বাড়লে আর সামাল দেওয়া সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) অনলাইন জুম অ্যাপের মাধ্যমে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ-২০২১ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, আমরা আর কত চিকিৎসা দেব, হাসপাতলে আর কত শয্যা বাড়াবো, কত হাই ফ্লো নেজাল ক্যানোলা দেব, আমরা কত অক্সিজেনের ব্যবস্থা করবো। হাসপাতালতো আর রাতারাতি বৃদ্ধি করা যায় না। হাসপাতালের বেডও তো রাতারাতি বাড়ানো যায় না। তারপরও আমরা এই অল্প সময়ের মধ্যে আড়াই হাজার বেড থেকে ৭/৮ হাজার বেড বৃদ্ধি করেছি। দশ গুণ রোগীও আমরা সামাল দিতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু তারপরও বাড়লে আর সম্ভব হবে না।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ দেশের মানুষকে নানা সংকটে ফেলেছে। অতিমাত্রায় বৃদ্ধির ফলে দেশে জরুরি লকডাউন চলছে। লকডাউন সংক্রান্ত সরকারের সব নির্দেশনা সবাইকে যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। একইসাথে দেশে কেন ও কিভাবে করোনায় দ্বিতীয় ঢেউ এলো এবং এভাবে বৃদ্ধি পেলো সেটিও ভাবতে হবে। এখন দেশের সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে এবং ভবিষ্যতে যাতে আবার করোনার তৃতীয় ঢেউ চলে আসতে না পারে সেদিকেও এখন থেকে সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি বলেন, বিশ্বে প্রায় ১০০ কোটি মানুষ পুষ্টিকর খাবার পায় না। আমাদের দেশেও কিছু মানুষ নানা কারণে পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে পারে না। এর মধ্যে দেশে পুষ্টিকর খাদ্যে ভেজাল বা কেমিক্যাল মিশানোর ফলে অনেক মানুষ সাধ্য থাকলেও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করে না। বর্তমানে প্রায় সব ধরনের ফল-মূলেই বিষাক্ত কেমিক্যাল মিশানো হচ্ছে যা স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ ক্ষতিকর। খাদ্যে ভেজালকারীদের বিরুদ্ধে এখনই কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
সভায় উপস্থিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম বলেন, এবারের পুষ্টি সপ্তাহের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বজায় রাখতে হবে এবং ২০৪০ সালের মধ্যে সবার জন্য পুষ্টি নিশ্চিত করতে হবে। বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় দেশের স্বাস্থ্য খাতের সব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হচ্ছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় স্বাস্থ্য খাত সফল হবে বলেই সবার বিশ্বাস এসেছে।