যেকোনো সময় দেশে করোনার সংক্রমণ বাড়তে পারে। এজন্য সবাইকে মাস্ক ব্যবহারসহ সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
সোমবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
দেশ থেকে কি করোনা উঠে গেছে? মানুষ কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি একেবারেই মানে না। এ বিষয়ে মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, আমাদের একটি অভিজ্ঞতা হয়েছে, আপনাদেরও হয়েছে। আমরা অনেকগুলো ঢেউ দেখেছি। প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ঢেউ দেখেছি। চতুর্থ ঢেউ যে আসবে না, তা হলফ করে কেউ বলতে পারে না। আমরাও পারি না। দেয়ার ইজ অলওয়েজ এ পসিবিলিটিজ অব ফোর্থ ওয়েভ, হুইচ ইজ নাউ টেক ইন প্লেস ইন ইন্ডিয়া। কাজেই আমাদের সতর্ক অবস্থায় থাকতে হবে।
জাহিদ মালেক বলেন, আমাদের দেশে করোনায় মৃত্যুহার এখন শূন্যের কোটায়। সংক্রমণের হারও শূন্যের কোটায় চলে গেছে। এটা যদি ধরে রাখতে হয়, আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। অর্থাৎ আমাদের মাস্ক পরতে হবে, যতটুকু সম্ভব সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। যারা এখনও করোনার টিকা নেননি তাদের টিকা নেওয়ার জন্য আহ্বান জানান জানান তিনি।
করোনার প্রথম ডোজের ১৩ কোটি টিকা দেওয়া হয়েছে
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, কোভিড নিয়ন্ত্রণ এবং টিকাদানে বিশ্বে বাংলাদেশ রোল মডেল। টিকার কার্যক্রম অনেক দেশের তুলনায় ভালো করেছি। প্রায় ১৩ কোটি প্রথম ডোজের টিকা দিয়েছি। সেকেন্ড ডোজ দিয়েছি ১১ কোটি ৬০ লাখ। বুস্টার ডোজ এক কোটি ১৯ লাখ। প্রথম ডোজ ৯৬ শতাংশ, দ্বিতীয় ডোজ ৮৭ শতাংশ এবং বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে ৯ শতাংশ। এতে দেশের ভাবমূর্তি বিশ্বে উজ্জ্বল হয়েছে।
তিনি বলেন, সবচেয়ে বেশি দাম দিয়ে টিকা দিয়েছি বলে গণমাধ্যমে এসেছে। এটা সঠিক নয়। উল্টো আমরা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে কম দামে জনগণকে টিকা দিয়েছি। ডাব্লিউএইচও (বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা) তথ্য দিয়ে থাকলেও সেটা সঠিক নয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ১২ কোটি ৮৪ লাখ টিকা দিয়েছি। কিন্তু সার্ভে করা হয়েছে মাত্র ১৮ শ’ লোকের মধ্যে। এত ছোট পরিসরের সার্ভেতে সঠিক তথ্য আসেনি। এখানে ১৩ কোটি লোক সেবা নিয়েছে। এই সার্ভের সাইজ এত ছোট যে সঠিক হিসাব নিতে পারি না।